muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

ছাতকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বসত বাড়ি জবর-দখলের অভিযোগ

আরিফুর রহমান মানিক, ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ।। ছাতকে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক পাকা দেয়ালসহ অবৈধ স্থাপণা নির্মাণ করে বসতবাড়ি জবর-দখলের অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে একটি অসাধুচক্র। মালিক পক্ষ বাড়িতে না থাকায় এদখল প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে।

এব্যাপারে কালারুকা ইউপির হরিশপুর গ্রামের মৃত নূর মিয়ার পুত্র রিপন মিয়া বাদি হয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা (নং বিবিধ ৩৮১/২০১৭ইং) দায়ের করেছেন। পরে তদন্ত শেষে এসআই কামাল হোসেন থানার স্মারক (নং ১২৪৯, তাং ১৯.১১.২০১৭ইং) মূলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বলা হয়, গত ২১নভেম্বর ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও দু’পক্ষের মধ্যে কার্যবিধি ১৪৪ধারার নোটিশ জারি করা হয়। এসময় ইউপি সদস্য ফজলু মিয়াসহ এলাকাবাসি উপস্থিত ছিলেন। ২য় পক্ষের একই গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র জাবেদও কবির এবং মনু মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়াসহ অন্যান্যরা পুলিশের উপস্থিতিতেই দঃবিঃ ১৪৪ধারা অমান্য করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকে। ২২৫জেএলস্থিত নিজগাঁও মৌজার এসএ খতিয়ান ৮৫২ ও নামজারি খতিয়ান নং ২৬৬৫, এসএ দাগ নং ২৫৫২, পরিমান ১৩শতক ১৪পয়েন্ট বাড়ি রকম ভূমি বাদির খরিদাও মৌরসী স্বত্ব থাকায় এখানে বসত ঘর নির্মাণ করে প্রায় ২০বছর থেকে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। এখানে নিজের মালিকানা ভূমির সাথে চাচাতো বোন স্বপনা বেগমের কাছ থেকে তার পৈতৃক ও খরিদা ভূমি ক্রয় করেন বাদি পক্ষ। গত দু’বছর আগে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে বাদি স্ব-পরিবারে ছাতক শহরে বসবাস করার সূযোগে ২য় পক্ষের লোকজন তার বসত ঘরের তালা ভেঙ্গে জবর-দখলের পাঁয়তারা করতে থাকে। বাদি তাদের অপতৎপরতা জানতে পেরে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট বিচার প্রার্থী হন। কিন্তু ১৬নভেম্বর ২য় পক্ষ বিচার না মেনে জোরপূর্বকভাবে বাদির ঘরের চারপাশে পাকা দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। এতে বাদি মামলা করলে আদালত এখানে দঃবিঃ ১৪৪ধারা জারি করেন। পরে ২১নভেম্বর এর নোটিশ নিয়ে পুলিশ বাড়িতে গেলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য পুলিশের উপস্থিতিতেই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে। পরের দিন ২২নভেম্বর পূনরায় বিবাদিরা পাকা দেয়ালের কাজ অব্যাহত রাখে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়। এনিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে উত্তেজনাসহ আইন-শৃংখা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ছাতক সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল (নং ৪৪৭৬/২০১৪ইং, ভলিয়ম-১৪৭, পৃষ্ঠা নং ২০৯/১৮) মূলে নিজগাঁও মৌজার ২৫৫২, ২৫৫৪ ও ২৫৫৫দাগের লায়েক পতিত, পুকুর ও বাড়ি রকম ১৬শতক ভূমি খরিদ করেন মনু মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া। নিঃসন্তান মখলিছ আলীর কথিত উত্তরাধিকার দেখিয়ে লিখক সুনীল দাস (নং ৪৩) রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিলটি রেজিষ্ট্রি করেছেন বলে জানা গেছে। এখানে ১৬শতক ভূমির মূল্য সরকারের নির্ধারিত ৬লক্ষাধিক টাকা হলেও জালিয়াতি ও দূর্নীতির মাধ্যমে মাত্র ১লাখ ৩হাজার টাকায় দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয়। অফিসের কতিপয় অসাধু সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে দলিল করে যাচ্ছে। এদিকে রিপন মিয়া দলিলটি বাতিলের দাবিতে ছাতক সাব-রেজিষ্ট্রার ও নামজারি বাতিলের জন্যে এসিল্যান্ড বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেছেন। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কাণা করেন।

Tags: