muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

বাবুল মাস্টার ২০১৩ সালে জেএমবিতে যোগদান করে- বগুড়া পুলিশ সুপার

বগুড়া প্রতিনিধি: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সামরিক প্রধান ও সুরা সদস্য বাবুল আক্তার ওরফে বাবুল মাস্টার ওরফে মাস্টার (৪৫) সহ গ্রেফতার ৪ সদস্যকে রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ।

গ্রেফতারদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়েছে। তারা হলেন- নব্য জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সামরিক প্রধান ও সুরা সদস্য বাবুল আক্তার ওরফে বাবুল মাস্টার ওরফে মাস্টার, নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার পারইল আছির হাজীপাড়ার মৃত লোকমান আলীর ছেলে নব্য জেএমবির সুরা সদস্য দেলোয়ার হোসেন ওরফে মিস্ত্রি মিজান (৩৯), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আলমগীর হোসেন ওরফে আরিফ (২৮) ও গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার আড়াল এলাকার আহম্মদ আলীর ছেলে আফজাল ওরফে লিমন (৩২)।

বুধবার রাত একটার দিকে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। বগুড়া জেলা পুলিশ ও পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া পুলিশ সুপার (সদ্য অতিরিক্ত ডিআইজি পদে উন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম জানান, বাবুল মাস্টার ২০১৩ সালে জেএমবিতে যোগদান করেন। এর এক বছর পর ২০১৪ সালে নব্য জেএমবিতে যোগদান করেন তিনি। সাংগঠনিক কাজে অত্যন্ত দক্ষ হওয়ায় ২০১৭ সালের প্রথম দিকে উত্তরাঞ্চলের সামরিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।

পুলিশ সুপার জানান, বাবুল মাস্টার ২০১৫ সালের নভেম্বরে রংপুর জেলার কাউনিয়ায় খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি এবং ২০১৬ সালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ এলাকায় জুতা ব্যবসায়ী দেবেশ চন্দ্র হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি তিনি সরবরাহ করেছিলেন।

পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম জানান, এরপর থেকে এ অঞ্চলের ১৬টি জেলার নব্য জেএমবির সাংগঠনিক কার্যক্রম নতুন সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ, হামলা টার্গেট, ব্যক্তি ও স্থান নির্ধারণ করার দায়িত্বে নিয়োজিত হন। গ্রেফতার বাবুল মাস্টার। বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায়। ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী রাজীব গান্ধী ওরফে জাহাঙ্গীর আলমের পর নব্য জেএমবির উত্তরবঙ্গের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বাবুল। রাজীব গান্ধী দীর্ঘদিন ধরে গ্রেফতার আছেন।

বগুড়া পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১৫টি গুলি, ম্যাগাজিন, ১টি চাপাতি ও ৪টি বর্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতাররা রাতেই ঢাকার উদ্যেশে রওনা দিতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা ঢাকায় গিয়ে বড় ধরনের কোনো অপারেশনে অংশ নিতেন। রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাদের। সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান আরিফ এবং (সদর) সনাতন চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।

Tags: