muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

চিরিরবন্দরে বিলুপ্তির পথে ঘানি শিল্প

এস.এম নুর আলম, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ।। চিরিরবরন্দরে উপজেলায় আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে নিত্যনতুন যন্ত্রপাতির আবিস্কারের ফলে মানুষের প্রতিটি কাজ হচ্ছে সহজ। বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে স্বল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদনের কারণে গ্রাম বাংলার আবহমান ঐতিহ্য ঘানি শিল্প আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। ফলে অনেকেই বাধ্য হয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়েছে। যারা আছেন তারা তাদের ঐতিহ্য বাপ-দাদার এ পেশাকে কোন রকম আকঁড়ে ধরে রেখেছেন। এক সময় ঘানি শিল্পে সরিষা দিয়ে গরুর সাহায্যে তেল বের করা হতো। সরিষার তেল দিয়ে তরি-তরকারিসহ সব ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহার করতো। এক কথায় ঘানির সরিষার তেল ছাড়া সে সময় রান্ন-বান্নাতে যেন গৃহিনীরা আর অন্যকিছু চিন্তাই করতো না। প্রাচীন ঐতিহ্য ঘানি শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে।

সরেজমিন চিরিরবন্দর ঈদগাঁহ মাঠ আতাউর রহমানের দোকানে গিয়ে দেখা যায়। রাস্তার পাশ্বে কিছু জায়গা ভাড়া নিয়ে দোকান ঘর তৈরী করেন। ওই ঘরের ভেতরে একটি গরু ঘানি টানছে। তার গোড়া দিয়ে বের হচ্ছে তেল। ঘানিতে প্রতিবার ৫ কেজি সরিষা ভাঙানো সম্ভব। ৫ কেজি সরিষা থেকে ২ কেজি তেল হয়। ৫ কেজি সরিষা ভাঙতে সময় লাগে ২ ঘন্টা। এভাবে দিনে পর্যায়ক্রমে একটি ঘানি থেকে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি সরিষা ভাঙা সম্ভব। বাজার এ তেলের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি কেজি তেল বিক্রি হয় ২৪০ টাকার দরে। যা অন্য তেলের তুলনায় দেড়গুণ বেশি।

ঘানির মালিক আতাউর রহমান জানান, মোর দাদা থাকিতে শুরু করে, এরপর মোর বাব তারপর মুই ঘানি টানা শুরু করো। মোর বাব দাদার ঐতিহ্য তাছাড়া কি করি খামো। হ্যামার কি আবাদ শুবাদ আছে বাহে। তবে আচারের জন্য ঘানির তেল বেশি নিয়ে যান কাষ্টমার।

Tags: