muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

অপরাধমুক্ত রাখতে সিসি ক্যামেরার আওতায় গাইবান্ধা জেলা শহর

মোঃ মেহেদী হাসান, গাইবান্ধা।। অপরাধমুক্ত রাখতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে গোটা গাইবান্ধা জেলা শহরকে। গত ২৩ ডিসেম্বর শনিবার গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্থাপিত নিয়ন্ত্রন কেন্দ্রে ফিতা কেটে এবং ফলক উন্মোচন করে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম, পিপিএম।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনী দিনে গাইবান্ধা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৮০টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে তা চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচীর আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে জরুরী ভিত্তিতে আরও ১৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে এবং প্রয়োজনে সিসি ক্যামেরার আওতা আরও সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানা গেছে। জেলা পরিষদের সহযোগিতায় এবং পুলিশ সুপারের নিজস্ব অর্থায়নে এই সমস্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। সব সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রন কক্ষটি স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ সুপার অফিসের যেখানে সার্বক্ষনিক একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোটা শহরের পরিস্থিতিকে পর্যবেক্ষন করবেন এবং ক্যামেরার আওতায় সংঘটিত সকল ঘটনা এবং কার্যক্রম তাৎক্ষনিকভাবে এইসব ক্যামেরায় রেকর্ড করা হবে।
অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা ও পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ। এসময় ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, গাইবান্ধা জেলার আইন শৃংখলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেই গোটা জেলা শহরকেই পুলিশ সিসি ক্যামেরায় আওতায় আনার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এতে গাইবান্ধা একটি অপরাধমূক্ত শহর হিসেবে গড়ে উঠবে এবং সকল প্রকার অপকর্ম দ্রুত নিরসন করা সম্ভব হবে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা বলেন, শুধু গাইবান্ধা শহর নয়, জেলার গোবিন্দগঞ্জ- পলাশবাড়ি-গাইবান্ধা সড়ক এবং সুন্দরগঞ্জ-গাইবান্ধা প্রধান সড়ক দুটিরও অপরাধ নিয়ন্ত্রন ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সিসি ক্যামেরা বসানোর একটি ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জেলা পরিষদ থেকে। এই জেলার মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে। সে কারণে গোটা জেলাকে অপরাধমুক্ত করার এই প্রচেষ্টায় জেলা পরিষদ সার্বিক সহযোগিতা করে যাবে।
পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, জেলা শহরের প্রধান প্রধান পয়েন্টগুলি এই সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ফলে অপরাধমুক্ত গাইবান্ধা শহর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে একটি মাইল ফলকের সূচনা হলো। আগামীতে গোটা জেলাকেই যাতে এই কর্মসূচীর আওতায় আনা যায় তারও উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। এসময় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি ও জেলা পর্যায়ের উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tags: