muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অপরাধ

নিখোঁজের ৬ দিন পর অটো চালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ।। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে নিখোঁজের ৬ দিন পর গত ৬ জানুয়ারী শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দ্বাড়িয়াকান্দি গণকখালী ব্রীজের নীচে রহমত আলী (১৯) নামে এক অটো চালকের হাত পা বাধাঁ অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। সে উপজেলার চরকামালপুর গ্রামের রিপন মিয়ার ছেলে। পুলিশ ৭ জানুয়ারী রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে নিহতের গ্রামের বাড়ী চরকামালপুর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের উপজেলার বাজরা তারাকান্দি বাসষ্ট্যান্ড এসে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় দু’দিক থেকে আসা যানচলাচল আধা ঘন্টা বন্ধ থাকে। পরে সংবাদ পেয়ে কুলিয়ারচর থানার এস আই আব্দুর রহমান ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে অবরোধ তুলে নিয়ে যেতে বল্লে বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ তুলে নিয়ে মিছিল সহকারে কুলিয়ারচর থানা অবরোধ করে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা অটো চালক রহমত আলীর হত্যাকারীদের বিচার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. উর্মি বিনতে সালাম হত্যাকারীদের বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা অবস্থান থেকে ফিরে যায়।

নিহত অটো চালকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে অটো চালক রহমত আলী অটোসহ নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়ার পরদিন ১ জানুয়ারী নিহতের চাচা আব্দুল করিম কুলিয়ারচর থানায় ১টি সাধারণ ডায়েরী করেন । সাধারণ ডায়েরী নং-১৫।

নিহতের পিতা রিপন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, এ হত্যা কান্ডের সাথে চরকামালপুর গ্রামের আমিন মিয়ার পুত্র সোহেল (৩০) জড়িত। পুলিশের ধারণা অটো গাড়ি ছিনতাইয়ের পর অটোচালক রহমত আলীকে হাত- পা বেঁধে খুন করে ব্রীজের নিচে ফেলে রেখে যায় ছিনতাইকারীরা।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নান্নু মোল্লা বলেন, এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এলাকাটি চোর- ডাকাতে ভরা। বিভিন্ন স্থান থেকে এসে ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা ছিনতাই করে চলে যায়। আমাদের টহল পুলিশ সারা রাত দায়িত্ব পালন করে। এদের প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের পাশা পাশি স্থানীয় লোকজনদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

গাড়ি চালকদের অভিযোগ, এই সড়কটি ডাকাত আর ছিনতাইকারীদের দখলে থাকে। পেটের দায়ে এ রাস্তা দিয়ে প্রাণ হানির ঝুকি নিয়ে গাড়ি চালাতে আসতে হয়। ভৈরব- ময়মনসিংহ মহাসড়ক এখন জন সাধারণের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। মহাসড়কটিতে রাত নামলেই বেড়ে যায় ডাকাতী ও ছিনতাই। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র ও ছিনতাইকারীরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যার পর থেকেই অবস্থান করতে থাকে। উপজেলার নোঁয়াগাও, ছয়সূতী কাঠাঁলতলী, ছয়সূতী ভক্তরমাড়া ব্রীজ, দ্বাড়িয়াকান্দি গনকখালী ব্রীজ, আলী আকবরী ও বাজরা আখড়া নামক স্থানে প্রায় প্রতি দিন রাতেই ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, রাতে পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশের টহল না থাকায় সড়কটিতে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলছে।

Tags: