বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি।। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নে দুই দিনে ছয়টি ডাকতি ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ভোর রাতে পিরিজপুর এলাকা হতে সন্দেহ বশতভাবে ২ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত দক্ষিন পিরিজপুর গ্রামের মুসলিম মিয়ার ছেলে মো. নূরুল্লাহ (২৩) ও একই গ্রামের মো. আঃ রহিমের ছেলে শামীম মিয়া (২৬)কে গ্রেফতারের পর কিশোরগঞ্জ জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। দুই দিনে ছয়টি ডাকতি ঘটনার মধ্যে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে দুটি বাড়ি ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডাকাতি সংঘটিত হয়। একই রাতে একটি মাইক্রোবাস লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে একদল ডাকাত পিরিজপুরে জজ মিয়ার বাড়িতে দরজা ভেঙ্গে সবাইকে রশি দিয়ে বেধে সুকেস থেকে একটি ল্যাপটপ ও প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়ে।
বাড়ির মালিক জজ মিয়া জানান, তার বাড়িতে ৯ ডাকাত ঘরের মধ্যে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। এর মধ্যে দুজনের মুখে মুখোশ ছিল। ডাকাতরা তার নাতনীর গলায় ছুরি দিয়ে চাবি নিয়ে যায়। পরে তার বাড়ির আগে একই ইউনিয়নে গজারিয়া এলাকার শিকদার একাডেমী শিক্ষা প্রতিষ্টানে ডাকাতি করে ডাকাত দল। সেখানে নৈশ প্রহরীকে জিম্মি করে তারা একটি মোটরসাইকেল ও ল্যাপটপ নিয়ে যায়। ডাকাতি করার পর ডাকাতরা পিরিজপুরের নূর আহাম্মদ নামের এক ব্যাক্তির বাড়িতে ঢুকে। সেখানে ডাকাতরা আহাম্মদের ছেলে সোহাগ মিয়াকে রশি দিয়ে বেধে আলমারি হতে ১০ হাজার টাকা ও কয়েক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার রাতে পিরিজপুর এলাকা হতে চালককে জিম্মি করে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে যায় একদল ডাকাত। অন্যদিকে বুধবার রাতে একই ইউনিয়নের উজানচর এলাকায় হারুণ মিয়া নামের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে জিম্মি করে ডাকাত দল একটি মটোরসাইকেল নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বাজিতপুর থানার ওসি আবু শামা মোঃ ইকবাল হায়াত মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে জানান, এ খবর পাওয়ার পর পুলিশ প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেয়। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।