muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

শম্ভুগঞ্জ ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু ছাত্রের “সুপারিশ লাগবে না কিছু টাকার লাইগা” সেই জন্যে অভিভাবকের আক্ষেপ

শম্ভুগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা ।। মানুষের ৫ মৌলিকের মাঝ্যে অন্যতম শিক্ষা। আর এই শিক্ষা নিয়ে সরকার নির্ধারিত ফি দরেছে। কিন্তু ভর্তি ফি এর চেয়ে অতিরিক্ত গলাকাটা ফি আদায় করে ভর্তিচ্ছুক ছাত্র ছাত্রীদের এ অধিকার হরন করেছেন শম্ভুগঞ্জ ইউ সি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন। শিক্ষানগরী শহর ময়মনসিংহের উপশহর ব্রীজের ওপারে শম্ভুগঞ্জ বাজারের অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শম্ভুগঞ্জ ইউ সি উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে প্রতিবছর শম্ভুগঞ্জ এর আশেপাশে থেকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ভর্তির আবেদন করে। এই বিদ্যালয়ে পড়তে আসা অনেকেই দরিদ্র ঘরের। যেথায় ভর্তি ফ্রি কম নেওয়ার কথা সেতায় গত কয়েক বছর ধরে এই বিদ্যালয়টি ফরম ফিলাপ এবং ভর্তি ফি অতিরিক্ত হারে আদায় করছে। যার ফলে অভিভাবক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, মানববন্ধন ও ক্ষোভ দেখা গেছে। দারিদ্র কবলিত এই এলাকায় শায়িত্বশাসিত একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয় এটি হওয়ায় ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা সবসময় বেশী হয়ে থাকে। আর এই সুযোকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষা বাণিজ্য ও লাভ জনক পেশায় রুপান্তরিত করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ভর্তি ও সরকারী পরীক্ষার ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত অর্থ-আদায়ের অভিযোগে ম্যানিজিং কমিটির সাবেক সভাপতির অপসারন ও অতিরিক্ত টাকা ফেরতের দাবীতে মানববন্ধন ও মামলা করে দুর্নীতির যেতে না যেতেই আবার নতুন করে নতুন বছর ২০১৮ইং শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তিচ্ছুক ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফিস আদায়ের লক্ষ্যে ঘটনায় আবারো অভিযোগ উঠেছে অভিবাক মহল। সরকারী কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা মানছে না। সরকারি নিয়মনীতি না মেনেই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক সকল ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার দুইশত টাকা আদায় করছে। এ ঘটনায় দারিদ্র শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিশাল সমস্যায়। অপরদিকে পার্শ¦বর্তী গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি ফিস সহনীয় ও সরকারের নিয়ম মানতে নেয়া হচ্ছে পাঁচশত টাকা। সরজমিনে গেলে দেখা যায় অসহায় এক ভ্যানচালক আক্ষেপ করে বলেছেন “ভ্যান নিয়া বেরুলেই পাঁচশত টেহা ইনকাম দেড়শ টেহকয়েকশত টেহার লাইগা কারো সুপারিশ লাগতনা এক হাজার দুইশত টাহা দিয়া পুলারে ভর্তি করাম”। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান যাদের তদবির করার মত লোক আছে তাদের জন্য ভর্তি ফিস কিছুটা কমানো হয় আর অসহায় যারা আছে বাকীদের কাছ থেকে নির্ধারীত টাকাই নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি ভর্তি ফিসের টাকার হিসাব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পরে যোগাযোগ করতে বলেন। প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেনের এ ধরনের অনিয়ম স্বেচ্ছারিতায় বিষয়টি তদন্ত করে ভর্তি ফিস সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও শাস্তি দেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অভিবাবক।

Tags: