muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

ডেস্ক রিপোর্ট ।। চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে আলোচিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ এর খসড়া। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, শাস্তি ও ও জরিমানার বিধান রেখে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠছে খসড়াটি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে অনুমোদনের জন্য এটি পাঠানো হয়েছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটি উত্থাপন হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, খসড়াটি নীতিগত অনুমোদনের সম্ভাবনা আছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদালত থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে নিষ্পত্তি হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে কটুক্তি বা অপপ্রচার করলে বা মদদ দিলে কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

আইনে বলা হয়েছে, দেশে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন এবং এই প্রযুক্তি ব্যবহারে দেশের নাগরিকদের অধিগম্যতা বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে এ সংক্রান্ত অপরাধও বৃদ্ধি পেয়েছে। কম্পিউটার, মোবাইলসহ অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে জালিয়াতি, কম্পিউটার বা মোবাইলে প্রতারণা ও হুমকি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে অন্যের তথ্য ব্যক্তিগত বলে দেখানো, পর্নোগ্রাফি, মানহানি, শত্রুতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের কথা এখন শোনা যাচ্ছে এবং প্রতিনিয়তই বিস্তৃত হচ্ছে অপরাধের ধরন। এসব অপরাধ মোকাবেলার জন্য সময়োপযোগী আইনের কোনো বিকল্প নেই। আইনে ৯টি অধ্যায় ও ৬৩টি ধারা রয়েছে।

আইনে আরো বলা হয়েছে, সাইবার ওয়ার্ল্ডে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এগুলো বেশি করা হচ্ছে। কোনো কোনো মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই এ ধরনের অপরাধকর্ম করে যাচ্ছে। এ প্রবণতা বন্ধ করা এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ আইনে প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় বা ততোধিকবার একই অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহলে এ কাজ অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই আইনে অজামিনযোগ্য ধারার পাশাপাশি সর্বনিম্ন ৭ বছর ও সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডসহ সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

রূপকল্প ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সাইবার ঝুঁকি নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ করে। বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে এর সুফল ভোগের পাশাপাশি অপপ্রয়োগও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সাইবার অপরাধের মাত্রাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা ও ডিজিটাল অপরাধসমূহের প্রতিকার, প্রতিরোধ, দমন, সনাক্তকরণ, তদন্ত এবং বিচারের উদ্দেশ্যে পৃথক আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, সাইবার তথ্য ডিজিটাল অপরাধের কবল থেকে  রাষ্ট্র এবং জণগণের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

Tags: