muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

পাকুন্দিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে ভুমি দখল

শাহরিয়া হৃদয়, নিজস্ব প্রতিবেদক ।। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আদালতের আদেশ অমান্য করে ভূমিহীদের দেয়া সরকারী আবাদযোগ্য ভূমি দখল করে নিচ্ছে এলাকার একটি ভূমিদস্যু চক্র। এলাকার অসহায় গরীব মানুষেরা এ সব ভূমিতে ফসলাদি করে জীবন যাপন করে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করছে। এই বিষয়ে অসহায় কৃষকরা স্থায়ী সমাধানের জন্য কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালতে একটি একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটির নং-(১১১৫/১৭)।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় মিরাজ এবং গোলাপ গং এলাকার একদল ভুক্ত দাঙ্গাবাজ পেশিবলে বলিয়ান ভুমিদস্যু সরকার গরীবদেরকে ভূমি বন্দোবস্ত করে দেয়ার কয়েক মাস পর থেকেই ভূমিদস্যুরা জোরপূর্বক ফসলি আবাদী জমি নিয়ে ফিসারি তৈরী করে মাছ চাষ করার পায়তারা চালায় এবং নেট বেষ্ঠিত মাটি দিয়ে আইল করে ঘেড়াও করে দেয়। তখন ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ কৃষকরা এর প্রতিবাদ জানালে তাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয় প্রভাবশালী মিরাজ এবং গোলাপ গংরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভূমি মন্ত্রনালয় কতৃক জারিকৃত ১/১৩৯৪ নম্বর আদেশের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৯৯৬ সনে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: ফজলুল হক সরকারের পক্ষ হইতে উপরোক্ত ভূমি কবুলিয়াত গ্রহন করেন মজনু মিয়া ও নাসিমা খতিুন। যাহার দলিল নং-৪৫৭০,কবুলিয়ত ফরম নং ৪৭৬৭। আরেকটি দলিলে কবুলিয়ত ফরম নং ৪৭৮৫ দলিল নং -৪৫০২ একই অনুচ্ছেদে রোকন উদ্দিন, পিতা জহুর উদ্দিনসহ আরও অনেকেই সকরার কতৃক খাস জমি বন্দোবস্তের মাধ্যমে কৃষি কার করে ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করিয়া আসিতেছেন। উক্ত ভুমিতে পেশীশক্তির বলে ফিসারি নির্মানের কাজ শুরু করে প্রভাবশালীরা। উক্ত বিলভরা বিলে প্রায় সহস্রাধিক গরিব জেলেরা মাছ ধরে ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালতে কৃষকরা মামলা দায়ের করার পরপর আদালত গত ১২-১২-১০১৭ তারিখে ২৯০৬ স্বারকে স্থিতিবস্থায় স্ব-স্ব স্থানে উভয় পক্ষকে শান্তিসৃংখলা বজায় রাখার জন্য আদেশ জারি করেন। উক্ত আদেশ অনুযায়ি পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য আহবান জানান। কিন্তু আদালতকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে আদেশ অমান্য করে ফিসারির কাজ অব্যাহত রাখে ভূমিদস্যুরা। এতে ঘটনাস্থলে যে কোন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আমি আদালতের নির্দেশ পেয়ে নোটিশ দ্বারা ঘটনাস্থলে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে অবহিত করেছি।

Tags: