কুড়িগ্রাম ।। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ‘জুলুমে’ ক্ষুব্ধ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা যাদুরচর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।
কেন্দ্রসচিব মইনুল হক জানান, শনিবার অংক পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীরা ভাংচুর শুরু করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ইউএনও দীপংকর রায় ভাংচুরের বর্ণনা দিয়ে বলেন, “তারা আমার গাড়ি, শিক্ষকদের ১৩টি মোটরসাইকেল, বিদ্যালয়ে লাগানো ১৫টি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে। ভেঙ্গে ফেলে বিদ্যালয়ের দেড়শ ফিট নিরাপত্তা দেয়াল ও দরজা-জানালা। তাদের তাণ্ডবে স্থানীয়রাও অংশ নেয়।”
তবে এর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।
কেন্দ্রসচিব মইনুল হকও কারণ বলেননি।
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবর রহমান বলেন, “মূলত ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।”
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইউএনও দীপংকর কেন্দ্রে এসে কোনো কারণ ছাড়াই পরীক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানি করেন। কাউকে হাত-পা পর্যন্ত নাড়াতে দেন না। দিনের পর দিন তার এ জুলুমে সবাই ক্ষুব্ধ হয়। ফলে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ইউএনও, সার্কেল এএসপি সিরাজুল ইসলাম, ওসি জাহাঙ্গীর আলমসহ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে আলোচনা চলছে বলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
এদিকে সরকারি সম্পদ নষ্ট করায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এএসপি সিরাজুল সাংবাদিকদের বলেন, সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব দেখে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নত করা হবে। এছাড়া তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।