muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে ঘুষখোরদের আইনের আওতায় আনা হবে

ডেস্ক রিপোর্ট ।। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ঘুষ বন্ধ হবেই। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে ঘুষখোর দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো অবস্থাতেই নিরীহ কর্মকর্তাদের হয়রানি করার সুযোগও দেওয়া হবে না।

বুধবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা, দুর্নীতির অভিযোগের প্রকৃতি’ শিরোনামে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনা সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৭ সালে ফাঁদ মামলায় প্রায় ৩০ জনকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১৭ সালেই কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এ বছর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই মাঠ পর্যায়ে ঘুষখোর দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হবে। তবে কোনো অবস্থাতেই নিরীহ কর্মকর্তাদের হয়রানি করার সুযোগও দেওয়া হবে না। এমনকি দুদকে কোনো প্রভাব সৃষ্টি করার সুযোগ নেই। দুদক তদবির ও প্রভাবমুক্ত প্রতিষ্ঠান।

দুর্নীতি, তদবির, ক্ষমতাবানদের বিশেষ প্রভাব নির্মূল করা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদবিরবাজরাই সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ, তারা পদ্ধতি ভাঙতে চায়। সংবিধান লংঘন করে অনুপার্জিত আয় করতে চায়। কিন্তু মানুষ আর তদবিরবাজদের ছাড় দিতে চায় না। তাদের শাস্তি পেতেই হবে। জনগণ পদ্ধতি মেনে সারিবদ্ধভাবে সরকারি পরিসেবা নিতে চায়। কারো দয়া নয়, সেবা প্রাপ্তি তাদের অধিকার।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অনেকেই আমাদের রাজনীতি আছে, উন্নয়ন আছে, নৈতিকতা আছে, সততা আছে, মূল্যবোধ আছে সবই আছে কিন্তু দুর্নীতি, তদবির, অবৈধ প্রভাব কী নেই? দুর্নীতির যে ব্যাপকতা রয়েছে এভাবে চললে অনেক অর্জনই বিসর্জন হয়ে যাবে। আমরা এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে চাই।

প্রশ্ন ফাঁস প্রসঙ্গে ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এক্ষেত্রে অভিভাবক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, সবাইকে দোষ নিতে হবে। এভাবে যারা সার্টিফিকেট নিচ্ছেন তাদের দক্ষতা, সক্ষমতা ও মননশীলতা ধ্বংস হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, দেশে সক্ষম শিক্ষিত মানুষের চাকরির অভাব নেই। যদি অভাব থাকতো তাহলে প্রায় লক্ষাধিক বিদেশি বাংলাদেশে চাকরি করতে আসতো না। আমাদের দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক স্কুল হয়েছে, স্কুলে যাওয়ার পাকা রাস্তা হয়েছে, শিক্ষা উপকরণ আছে, শিক্ষক আছে কিন্তু শ্রেণিকক্ষে কী শিক্ষা আছে? শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা থাকলে আমাদের সন্তানরা কেন কোচিং সেন্টারে যাচ্ছে? তিনি এক্ষেত্রে প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিদের সম্মিলিতভাবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ বিকাশের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন দেশের প্রায় ২২০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে সততা সংঘ গঠন করেছে। উত্তম চর্চার বিকাশে তাদের নিয়ে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

স্থানীয় জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সুবর মণ্ডলের (যুগ্ম সচিব)  সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা আক্তার প্রমুখ।

Tags: