খুলনা ।। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এতে অনুষ্ঠানে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘গত সোমবার আমি শরীয়তপুরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। শরীয়তপুরের ডিসি সাহেব জাজিরায় একটি ছোট্ট-খাট্টো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেন। ভাবলাম সন্ধ্যার পর কোনো কাজ নেই, আধাঘণ্টা গান শুনলে খারাপ কি, ভালোইতো হবে। শুনলাম। কিন্তু পরের দিন বাসায় গিয়ে পত্রিকা পড়ে দেখলাম লেখা আছে- রাষ্ট্রপতি সস্ত্রীক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন। এ নিউজ আমার স্ত্রীও দেখছেন। আসলে আমার স্ত্রীতো আমার সঙ্গে যাননি। এখন প্রশ্ন হলো যে, সস্ত্রীক আমার স্ত্রী আবার কে? এটা নিয়ে তো একটা বিরাট…।’’
তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিক ভাইরাতো আজকেও আছেন। দয়া করে লেখা-টেকার মধ্যে একটু উনিশ বিশ কইরেন। মানুষের সংসারের মধ্যেতো গোলমাল লাগাই দেওয়া ঠিক না। বিশেষ করে এই বয়সে। বয়স তো গেছে। সেই বয়সে গোলমাল লাগাইলে একটা না একটা সুরাহা করা যায়। কিন্তু এই বয়সে তা করারও উপায় নেই।’’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘ফলে আজকে কী হইছে, দেখেন। আজকে আর আমি খুলনায় একা আসতে পারি নাই। আমার সঙ্গে আমার স্ত্রীও এসেছেন। কিন্তু উনি এই সভায় আসেন নাই। উনি ভিসি সাহেবের বাসায় আছেন। তবে ভিসি সাহেবের বাসায় উনি শান্তিতে আছেন বলে মনে করি না। কারণ এই সভার মধ্যে তার ছেলের বউদেরও নিয়ে এসেছেন এবং এ সভার মধ্যে এক ছেলের বউ আছে, পাঠাই দিয়েছেন যে এখানে আমি কী করি। মানে এমন একটা পাহারার ব্যবস্থা করছে- এটা চিন্তা করা যায় না।’’
তিনি বলেন, ‘‘সুতরাং সাংবাদিক ভাইরা আপনারা তো অনেক কিছুতে গোলমাল লাগাইতে পারেন, তবে এ ধরনের পারপাসলেস-অনর্থক গোলমাল লাগাইয়া অন্যের জীবনে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করা ঠিক না।’’
রাষ্ট্রপতির এমন বক্তব্যে রম্যরসের সৃষ্টি হয়। তবে, এই বক্তব্যের পর উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা আরও দায়িত্বশীল রিপোর্টিংয়ের বিষয়ে সতর্ক হন।