muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

জেলা কোটা বাতিল সংবিধান পরিপন্থী

ডেস্ক রিপোর্ট ।। কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা। এ জন্য তারা আন্দোলনও করেছেন। আন্দোলন যখন চরমে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের বিষয়ে বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এত কিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই।’

বর্তমানে দেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটার কথা বলা আছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ও জেলা কোটা ১০ শতাংশ করে, পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য, আর প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে এক শতাংশ কোটা। বাকি ৪৪ শতাংশ মেধা কোটায় বরাদ্দ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির যৌক্তিকতা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জেলা কোটা বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯(৩)(ক) অনুচ্ছেদের বিধান। কাজেই কোটাভিত্তিক নিয়োগের বিদ্যমান নীতিমালা হতে বিচ্যুত হলে সংবিধান আরোপিত মূলনীতি ক্ষুণ্ণ হয়।

ইতিমধ্যে কোটা সংস্কার ইস্যুর বিষয়টি তথ্যগতভাবে মোকাবেলা করতে প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে জেলা কোটা ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা বা অন্য কোনো কোটা সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করা হয়নি।

এদিকে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে শিগগিরই একটি কমিটি গঠন করবে সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর এ কমিটি গঠন করা হতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংবিধান সংশোধন ছাড়া যদি জেলা কোটা বাদ দেয়া হয় তা সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল হবে। তারা বলেন, জেলা কোটা বাতিলের আগে সংবিধান সংশোধন করে সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করতে হবে।

Tags: