muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

সাহিত্য ও সংস্কৃতি

ভোরের আলো সাহিত্য আসরের ৪৮৩ তম সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।  কিশোরগঞ্জের বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতিসহ দেশের চলমান কোটা আন্দোলন,মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষণ, সরল মানুষের কাছে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়া,সাম্প্রতিক কিশোরগঞ্জের যশোদল ও নিকলীর হত্যাকান্ড, শিশু ও নারী ধর্ষণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সরব ছিল আজকের ৪৮৩ তম সভাটি।

ভোরের আলো সাহিত্য আসরের অতীতের স্মৃতি চারণ করে কান্না জড়িত কন্ঠে আবেগের প্রকাশ ঘটান সভার সভাপতি আবুল বাহার। তিনি একাধারে সংগঠনের দীর্ঘ ৪বছর ১০মাস ১৪ দিন দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংগঠনের বর্তমান সভাপতি আজিজুর রহমান টাঙ্গাইল নিজ বাড়ীতে যাওয়ায় আজ উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতিকে ৪৮৩ তম সভার দায়িত্ব পালন করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা,বিআরডিবি সাবেক কেন্দ্রীয় পরিচালক মোঃ নিজাম উদ্দিন। সভার সূচনায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংগঠনের করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা রেজাউল হাবীব রেজা। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ভূঁইয়া। সংগঠনের পরিচালক আমিনুল হক সাদীর উপস্থাপনায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট কবি ও ব্যাংকার মোতাহের হোসেন, সংগঠনের সমন্বয়ক ডা. মোবারক হোসেন খান,সহ-সম্পাদক মো ঃ শফিক কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুকুজ্জামান,সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ শফিউল আলম,নিয়মিত সদস্য মোঃ রেহান উদ্দিন,সংগঠনের সূচনা সময়ের সদস্য কবি জামাল উদ্দিন ওরফে অনন্য ইয়াসিন,ক্ষুদে গল্পকার ওয়েসিস ইয়াসিনবিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মোঃ কামরুজ্জামান খান, ক্ষুদে মুজিব পূণ্য,ক্ষুদে পার্লামেন্ট সদস্য ওমর ফারুক, সাবিক জাওয়াদ, শিল্পী মোঃ মহবুবুর রহমান প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সাংবাদিকরা সমাজ নির্মাণ করে তাদের ত্যাগ দিয়ে, সেখানে যদি কোনো সাংবাদিক তার পেশাকে কাজে লাগিয়ে নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন চালায় তাহলে সকল সাংবাদিকের ওপর এক প্রকার দোষ আসে। এরকম একটি ঘটনা ঘটছে হাবিবুর রহমান সেলুর বেলায়। তার কাছ থেকে কিশোরগঞ্জের এক সাংবাদিক ৬ লক্ষ টাকা লাভ দেখিয়ে তার কাছ থেকে নিয়ে গেছে ৭/৮ বছর আগে। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা প্রতিবারই সে ওই সাংবাদিকের কথায় প্রতারিত হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত টাকা অনাদায়ে একটি চেকের মামলা করতে হয়েছে। এ কারনে দিন দিন সাংবাদিকদের প্রতি মানুষ আস্থাহীন হয়ে পড়ছে। টাকার পাওনাদার হাবিবুর রহমান শেলু এখন ভূগছে ক্যানসার রোগে। তার হাতে কোনো টাকা নেই। তার বৃদ্ধা মা ও অবুজ শিশু চেয়ে থাকে কখন শেলু চাল,ডাল,তরি-তরকারির জিনিষপত্র ক্রয় করে আনবে ? এখন এসব ক্রয় করা তো দূরের কথা নিজের রোগের কারণে শেলুর পরিবার পরিজন অনাহারে ভোগছে।

 

Tags: