muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

প্রতিবন্ধী গীতাকে লেখক, পুরোহিতসহ ২০ জন বিয়ে করতে চায়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।। লেখক, পুরোহিতসহ প্রায় ২০ জন তাকে বিয়ে করতে চেয়ে ফেসবুকে দেয়া ঘটকালীর একটি বিজ্ঞাপনী পোস্টের সাড়া দিয়েছেন। বধির এবং বাকশক্তিহীন বিশেষ এই তরুণীর নাম গীতা। ছোটবেলায় হঠাৎ একদিন সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি নিজ দেশ ভারতে ফিরেছেন তিনি।

৯ দিন আগে গীতার হারানো বাবা-মায়ের সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। পোস্টে গীতার বিয়ের জন্য বর খোঁজা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

জ্ঞানেন্দ্র পুরোহিত একজন স্যোসাল অ্যাকটিভিস্ট। শনিবার তিনি বলেন, ‘গীতাকে বিয়ে করতে চেয়ে অন্তত ২০ জন আগ্রহ দেখিয়েছেন। সেই সঙ্গে পাঠিয়েছেন জীবন-বৃত্তান্ত। এদের মধ্যে ১২ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী, বাকিরা সুস্থ্য-স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, ‘তাদের মধ্যে আছেন মন্দিরের একজন পুরোহিত, অন্য একজন লেখক।’ গীতাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। পুরোহিতের দাবি, মন্ত্রীই তাকে গীতার জন্য বর খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছেন।

‘পরিবারের সঙ্গে বধির তরুণী গীতার পুনর্মিলন’ নামে একটি ফেসবুক পেইজে তিনি একটি পোস্ট দেন। গত ১০ এপ্রিল গীতার পরিবারকে খুঁজে দিতে এ পেইজটি তৈরি করা হয়। পেইজে দেয়া বিজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘তারা ভারতীয় কন্যা গীতার জন্য ২৫ বছরের ঊর্ধ্বের একজন স্মার্ট এবং ভালো বধির তরুণ খুঁজছেন।’

এতে আরো বলা হয়, প্রস্তাবগুলো থেকে নিজেই জীবনসঙ্গী বেছে নেবেন গীতা। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

ভারতের মুক-বধির সংগঠন নামের একটি বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে বর্তমানে অবস্থান করছেন গীতা। দেশটির সামাজিক বিচার বিভাগের মন্ত্রী সংগঠনটির তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

গীতাকে যখন পাকিস্তানের লাহোরে সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগিতে পাওয়া যায়; তখন তার বয়স ছিল সাত কি আট বছর। ভারতের কোনো একটি স্থান থেকে গীতা সীমান্ত পেরিয়ে ওই ট্রেনে চেপে বসেন। পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক সংগঠন এধি ফাউন্ডেশনে বড় হতে থাকেন গীতা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের তত্ত্বাবধানে ২০১৫ সালে ভারতে ফিরেন তিনি।

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ১০ দম্পতি তাদের দীর্ঘদিনের হারানো সন্তান বলে গীতাকে শনাক্ত করেন। তবে দাবির পক্ষে কোনো ধরনের শক্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি তারা।

সূত্র : পিটিআই।

Tags: