ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ।। ময়মনসিংহের ভালুকায় ১৭ এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখ রাত ১০.০০ ঘটিকায় হবিরবাড়ী ইউনিয়ন সোনারবাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী চম্পা আক্তার (১১) হবিরবাড়ী ইউনিয়নের গফুর মৌলভীর মাজার এলাকায় তার বোনের বাড়ীতে অবস্থানকালে মাইন উদ্দীনের ছেলে কাইয়ূম তাকে ধর্ষণচেষ্টা করে। কিন্তু ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটির গায়ে আঁচড়িয়ে ক্ষত বিক্ষত করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জঘন্য এই পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই র্যাব-১৪ ধর্ষণচেষ্টার সাথে জড়িত অপরাধীকে ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ এপ্রিল ২০১৮ ইং ০২.০০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব -১৪, ময়মনসিংহ এর অপস্ অফিসার এএসপি মোঃ হাফিজুল ইসলাম বাবু এবং এএসপি মোঃ মাহবুব-উল-আলম এর নেতৃত্বে একটি চৌকস আভিযানিক দল ঢাকার উত্তরা হতে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ১। মোঃ কাইয়ূম (নাঈম) (২০), পিতা-মাইন উদ্দীন, সাং- হবিরবাড়ী, থানা-ভালুকা, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ঘটনা সংক্রান্তে জানা যায় নির্যাতিত চম্পা আক্তার তার বড় বোনের বাসায় থেকে হবিরবাড়ী সোনারবাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ালেখা করত। চম্পা আক্তারের ভাষ্যানুযায়ী ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে বাইরে বের হলে আসামী কাইয়ুম (নাঈম) তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁচড়িয়ে ক্ষত বিক্ষত করে। নির্যাতিত ছাত্রীকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৮ এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখ এ ভালুকা থানার মামলা নং-৩৫, তারিখ-১৮/০৪/২০১৮ ইং ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) (খ) দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানায় হস্তান্তর এর কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।