muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

Uncategorized

“রায়পুরে আর্থিক ও উপকরণ সংকটে চলছে না নূরাণী মাদ্রাসা” : প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা

শাহাদাত হোসাইন সাদিক, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি ।। লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চর কাছিয়া গ্রামে মিয়ার বাজার এলাকায় ত্রিশ ঘর নূরানী মাদ্রাসা আর্থিক ও উপকরণ সংকটে চলছেনা শিক্ষা কার্যক্রম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় এলাকার বাদশা গাজী নামের এক হৃদয়বান ব্যক্তি ৬ শতাংশ জমি দান করে। ২০১৬ ইং সালে এই দানে নূরানী মাদ্রাসাটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তারা সমাজের বৃত্তবানদের সহযোগীতায় ঐ জমিতে ২টি দো’চালা ঘর নির্মাণ করেন। কোন উপকরণ ছাড়াই সেখানে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথম অবস্থায় ৫০-৬০ জন গরিব অসহায় জেলে পরিবারের ছেলেমেয়েরা এই মাদ্রাসাটিতে লেখা পড়া করে আসছে। অজপাড়া গ্রামে এই ধরনের উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কৃষক-জেলেরা তাদের পরিবারের সন্তানদেরকে দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ভর্তি করে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলছে। এখন বর্তমানে ঐ মাদ্রাসায় ছেলে ও মেয়েসহ ১৩৫ জন ছাত্র/ছাত্রী ধর্মীয় শিক্ষা নিচ্ছে।

ঐ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসাইন জানান, মিয়ার বাজার ত্রিশ ঘর এলাকায় মানুষ অত্যান্ত নিরীহ প্রকৃতির। তারা সবাই প্রায় জেলে পরিবার। আমি অনেক চিন্তা করে দেখলাম এখানে প্রায় ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায়, শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের কথা চিন্তা করে, সকলের কাছে যাই এবং তাহাদের আর্থিক সহযোগীতায় ঐ এলাকার মৃত আজিজ গাজী-এর ছেলে হৃদয়বান ব্যক্তি বাদশা গাজীর জমি দানের কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠে। বর্তমানে ১৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী অত্র মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছে আমরা ৩ জন শিক্ষক নিয়মিত পাঠ দান করছি। প্রতিষ্ঠানটির কোন আয় উন্নতি এবং শিক্ষা উপকরণ না থাকায়, আমরা ভালো কার্যক্রম করতে পারছি না। আগামী দিনে অত্র প্রতিষ্ঠানে ৫০০/৭০০ শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা বিশুদ্ধ পানি পান করার জন্য বরিশালের কালিগঞ্জ এলাকার মান্নান মাষ্টার প্রতিষ্ঠানটি দেখেতে এসে উনার নিজ খরচে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেন। বর্ষাকালে এখানে জোয়ারের পানিতে প্রতিষ্ঠানটি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাননীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনসহ সর্বোস্তরের হৃদয়বান ব্যক্তিদের এই মাদ্রাসা উন্নয়নে ও উপকরণ দিয়ে সযোগীতা করার জোর দাবী জানাচ্ছি।

Tags: