muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

রাজনীতি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে উস্কানিদাতাদের মধ্যে ছাত্রলীগের শীর্ষপদ পেতে মরিয়া যারা!

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাবি) ।। ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার ১ সপ্তাহের বেশী সময় অতিক্রান্ত হলে ও সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন হিসাব নিকাষের কারণে এখনো ঘোষণা করতে পারেনি শীর্ষ নেতৃত্বের নাম।  আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের পছন্দের প্রার্থী থাকার কথা বলার পরও কেন নাম ঘোষণায় এত বিলম্ব হচ্ছে সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে আলোচনা।
সম্মেলন কে কেন্দ্র করে ‘মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠে’র অনুসন্ধাণে বের হয়ে এসেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ছাত্রলীগ নেতৃত্বে অনুপ্রবেশ ও সিন্ডিকেট নামক ব্যাধি ঠেকাতে যখন যখন শীর্ষ নেতৃত্ব চরম ভাবে ব্যর্থ তখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই দায়িত্ব নেন ছাত্রলীগের কমিটি ও নেতা নির্ধারণে বিষয়ে। তার পরও ছাত্রদল ও শিবির থেকে অনুপ্রবেশকারী নেতারা থেমে নেই। তারা দিন রাত একাকার করে চালিয়ে যাচ্ছেন লবিং ও তদবির। এই সব লবিং তদবিরে আওয়ামীলীগের শীর্ষপদে থাকা অনেক নেতা ভুল করে পা দেয়ার কথা ও জোড়ে সোরে শুনা যাচ্ছে।

 ছাত্রলীগ কে অকার্যকর ও ব্যর্থ সংগঠনে পরিণত করতে লন্ডনে বসে কলকাঠি নাড়ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এইবার তিনি চান ছাত্রলীগে তার পছন্দের নেতারা যেন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে  সেই জন্য বিদেশে বসে অর্থের যোগান দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার নেয়া বিভিন্ন পলিসি ও কাজে এসেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন প্রায় স্তিমিত তখন তার নির্দেশে কিছু অনুপ্রবেশকারী নেতা এই আন্দোলন কে বেগবান করে একদফা সরকার পতনের আন্দোলনে পরিণত করতে চেয়েছেন। এই সময় আওয়ামীলীগকে এই আন্দোলন সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এই আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন অনুপ্রবেশকারীরা দলে কতটা তৎপর। তাই এই বার তিনি শীর্ষ পদে যেন কোন প্রকার অনুপ্রবেশকারী না আসতে পারে সেজন্য সময় নিয়ে অনুসন্ধাণ করে শীর্ষ নেতৃত্ব খোঁজে আনার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই চেষ্টা কে ব্যর্থ করতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মাঠে নেমেছে বিতর্কিত কিছু ছাত্রলীগ নেতা, অনুপ্রবেশকারী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে অভিযুক্তরা। এই সকল নেতারা হলেন সদ্য সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম, উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, উপ- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মাহফুজুর  রহমান নয়ন, উপ- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামাল হোসেন, সহ সম্পাদক শামীম পারভেজ, রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য,তাইজুল ইসলাম,কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া।
জিয়া ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ -সভাপতি তালহা জুবায়ের সামি ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনায়েত হোসেন রেজা, জয় তালুকদার, ইমরান হোসেন। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সভাপতি ইমরান হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা আবু আনসারী বাধন, ইমদাদুল হক, ফারুক হাসান, রকিবুল ইসলাম, সূর্য সেন হল শাখার সাবেক পাঠাগার সম্পাদক ইমরান হাসান আপেল সহ এই রকম ২০০জন নেতার নাম গুয়েন্দা সংস্থার নাম কাছে রয়েছে।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলন উস্কে দেয়া উপরে উল্লেখিত অনুপ্রবেশকারী ছাত্রলীগ নেতারা যাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে আসতে না পারে এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন গুলো।

Tags: