muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

শেষ মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ থেকে আলোচনায় যারা

ঢাবি প্রতিনিধি ।। ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার ১২ দিন অতিক্রান্ত হলে ও সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনো নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন হিসেব নিকেশের কারণে এখনো ঘোষণা করতে পারেনি শীর্ষ নেতৃত্বের নাম। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে সিন্ডিকেট বিহীন কমিটি, আগামী মাসের বাজেট প্রনয়ণ, কোটাসংস্কারবাদী ও অনুপ্রবেশকারীদের সংগঠনে স্থান না দেয়ার মত  ৪ টি বিষয়ের  কারণে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত  করে নাম ঘোষণা করতে পারেনি দলটি।
তবে ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া শেষ করেছেন দলটির অভিবাবক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থীদের ব্যাপারে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব টিম পৃথক পৃথম রিপোর্ট দিয়েছেন। তবে কমিটিতে ছাত্রদল ও শিবির থেকে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে অভিযুক্ত এমন নেতাদের দলে স্থান না দেয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে দলটি।
এখনো পর্যন্ত আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে  ঘোষণা না আসলে ও এই বারের কমিটিতে শীর্ষ দুটি পদে আঞ্চলিকতার রাজনীতি প্রাধান্য পাবে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন।বিশেষ করে নেতৃত্ব নির্বাচনে এগিয়ে আছে উত্তরবঙ্গ ও চট্টগ্রাম অঞ্চল।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়  কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটিতে বরাবরই প্রধান্য পেয়ে আসছে দক্ষিণ অঞ্চল (মাদারীপুর, ফরিদপুর,রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জ ওখুলনা বিভাগ ),বরিশাল ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল। সে দিক বিবেচনায় উত্তবঙ্গের রাজনীতি অনেকটাই পিছিয়ে আছে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে।তাই এই বারের কমিটিতে  উত্তরবঙ্গ থেকে  শীর্ষ নেতৃত্ব উঠে আসবে বলে জোরেশোরে শুনা যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গ থেকে এইবার এক ডজন নেতা প্রার্থী থাকলে ও শীর্ষপদে আলোচনায় রয়েছে মাত্র কয়েকজন। তারা হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো:আল-মামুন, কেন্দ্রীয়  কমিটির সদস্য  রেজুয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। এদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেন  এর বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার আন্দোলন উস্কে দেয়ার প্রমান সহ একাধিক নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন করা হয়েছে।অন্যদিকে রেজুয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের বিরুদ্ধে মাদক সহ সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানে পুলিশের হাতে আটকের অভিযোগ রয়েছে।এই সব সমীকরণ বিবেচনায় এদের মধ্যে অনেকটা সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছেন মো.আল -মামুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান  কোটা সংস্কার আন্দোলন সামলে উঠতে সরকারকে যখন বেগ পেতে হচ্ছে তখন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষদের কে নিয়ে কোটা সংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আলোচনায় আসেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন।এই বিষয়টির জন্য প্রধানমন্ত্রী কাছে তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামের একটি সাধারণ পরিবারের সন্তান আল -মামুন।তার পিতা একজন যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা। এলাকার সে মানুষের কাছে মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত।
তাছাড়া গণজারণ মঞ্চের সংগঠক ও  ১/১১ রাজনৈতিক সময়ে একজন পরীক্ষিত নেতা হিসেবে তার সুনাম রয়েছে।এলাকাবাসী তাদের অঞ্চল থেকে তাকে  নেতা হিসেবে চাই।
তবে ইচ্ছেকৃত ভাবে বিভিন্ন প্রার্থীর  বিরুদ্ধে কাদা ছুড়াছুরির ও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এই ব্যাপারের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন নিজেদের মধ্যে এই সব কাদা ছুড়াছুরি বন্ধ করা প্রয়োজন।

Tags: