muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

বগুড়ায় নিখোঁজের পর যুবকের অর্ধগলিত লাশ, আদিবাসী যুবকের আত্মহত্যা

বগুড়া অফিস ।। নিখোঁজের ৫ দিন পর মেরাজুল (১৮) নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার রাতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের চুনাগাড়ী এলাকার ধান ক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঈদের পরের দিন রবিবার (১৭ জুন) বিকেল থেকে মেরাজুল ইসলাম নিখোঁজ হয়। সে বিশালপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় একটি হত্যা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মেরাজুল ইসলাম ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতো। সে ঈদের ছুটিতে বাড়ীতে এসে ঈদের পরের দিন রবিবার বিকেলে তার পুর্বপরিচিত ওই এলাকার নিমাই নামের এক ব্যক্তির ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা নিয়ে জামাইল বাজার থেকে চারজন যাত্রী নিয়ে রানীরহাট এলাকায় রওনা দেয়। এরপর থেকে তার আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছিলনা। তাকে কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরের দিন সোমবার রাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি শেরপুর থানায় অবগত করে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী করা হয়। পরে বুধবার রাতে চুনাগাড়ীর ধান ক্ষেতে নিখোঁজ গার্মেন্টস শ্রমিকের অর্ধগলিত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন শেরপুর থানায় খবর দেয়। থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে সেখানে পৌঁছে হাত-পা বাঁধা লাশটি উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। ধারনা করা হচ্ছে, ছিনতাইকারীরা ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের পর তাকে স্বাসরোধ করে হত্যা করে ওই নির্জন এলাকায় লাশটি ফেলে গেছে।

এদিকে, একই উপজেলার ভবানীপুর আদিবাসী পল্লীর ঠান্ডু সিংয়ের ছেলে সবুজ সিং গত বুধবার তার শ্বশুড়বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার খিড়িতলা গ্রাম থেকে নিজ বাড়ির ঘরের মধ্যে এসে আত্মহত্যা করার পথ বেছে নেয়। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টেরপেয়ে সবুজকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সে মারা যায়। তবে কি কারণে আদিবাসী সবুজ আত্মহত্যা করেছে, তা জানা যায়নি।

সবুজের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, বিয়ের পরে প্রায় এক বছর যাবত তার স্ত্রী সীমারানী বাপের বাড়ী থেকে স্বামীর বাড়ী আসেনা। তাই দীর্ঘদিন পরে সবুজ গত বুধবার সকালে শ্বশুড় বাড়ী যায়। এ ঘটনায় থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে এবং থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

শেরপুর থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম পৃথক দুটি ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মেরাজুল ইসলাম নামের গার্মেন্টস শ্রমিক নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডির পর আমরা ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েও তার কোন হদিস পাইনি। বুধবার লাশের খবর পেয়ে সেখানে গেলে তার পরিবারের লোকজন লাশটি মেরাজুল ইসলামের বলে শনাক্ত করেন।

Tags: