muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

ঝুনাগাছ চাপানীতে হিন্দু মেয়ের বিয়েকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যানের ধামাচাপা

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ।। নীলফামারী জেলাধীন ডিমলা উপজেলার ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিযনের ২নং ওয়ার্ডের শ্রী জোগেন্দ্রনাথ রায় এর পুত্র, শ্রী প্রদীপ চন্দ্র রায় এর বাড়িতে ২২ জুন শুক্রবার বিকালে শ্রী মনিকা ঋষি (১৯) নামের মেয়ে শ্রী প্রদীপ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে স্ত্রীর দাবীতে অনশন করেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় মনিকা ঋষি পঞ্চগড় জেলার দেবীগ উপজেলার লক্ষীর হাট ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দেবীডুবা গ্রামের কান্তা ঋষির মেয়ে। মনিকা ঋষি বলেন ১০ মাস পূর্বে আমাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শ্রী প্রদীপ চন্দ্র রায় সাথে সম্পর্ক তৈরী হয়। সম্পর্ক তৈরী হওয়ার ১ মাস পরে আমাকে বিবাহের কথা বলে ঢাকা নিয়ে যায়। ঢাকা ধামরাইয়ের একটি মন্দিরের সামনে সিদুর পড়িয়ে বিবাহ করে। দীর্ঘ ৭ মাস থেকে ‘ঘর সংসার’ করার পর প্রদীপ চন্দ্র ঢাকা ধামরাইতে আমাকে রেখে সে তার নিজ বাড়ীতে চলে আসে। কয়েকদিন পরে আমি লোক মারফত জানতে পারি সে পূনরায় অন্যত্র একটি বিবাহ করার জন্য চেষ্টা করিতেছে। সংবাদ পেয়ে আমি দ্রুত আমার বিবাহিত স্বামী প্রদীপ চন্দ্র বাড়ীতে চলে আসি।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান মনিকা ঋষি বিকাল ৩ টার সময় প্রদীপ চন্দ্রের বাড়িতে আসলে তাহাকে ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ মোজাফ্ফর ও মোমিন এর সহায়তায় সু-কৌশলে মেয়েটিকে প্রদীপের বাবা,মা মারধর করে তার এক দুর সম্পর্কের নানীর কাছে রাতের অন্ধকারে রেখে আসেন। ঐ দিন রাত ৩.৩০ টার সময় মিথ্যা কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ঐ বাড়িতে গিয়ে মেযেটিকে বলেন তোমার বাবা মা আসছে বিচার বসছে ছেলে ও তার বাবা আছে তুমি আমার সাথে আস। এর পর মনিকা ঋষি সেখানে গিয়ে দেখে তার বাবা, মা, স্বামী, শশুর কেহই নাই। ঘটনার দৃষ্টে বুঝা যায় স্থানীয় একটি কৃচক্রী মহল মেয়েটির সাথে ছেলেটির বিবাহ না হউক সেই চক্রান্তে লিপ্ত আছেন। অপর একটি বিশ্বস্ত সুত্রে জানায় ইউপি চেয়ারম্যান এর নেপত্তে জড়িত আছেন।

এর পর সারারাত ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশের পাহাড়ায় সেখানে রাত কাটায়। আজ শনিবার উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের আমার পিতার পক্ষের লোকজন ও প্রদীপের পরিবারের লোকজনকে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান একটি বিচার শালিস করেন। মেয়ে পক্ষের লোকেরা ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য দাবী করেন। ছেলে পক্ষের লোকজন ৭ দিনের সময় চান কিন্তু মেয়ে বাবার পক্ষের লোকজন ৩ দিন সময় দেয় এবং বলেন ৩ দিনের মধ্যে উক্ত ছেলের সাথে বিয়ে না দিলে আমরা আইনের আশ্রয় নিব।

Tags: