muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

দাওরায়ে হাদিসে সারাদেশে দ্বিতীয় কিশোরগঞ্জের নাসীরুদ্দীন

সদ্য প্রকাশিত কওমি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদীসের (স্নাতেকাত্তর) ফলাফলে জাতীয় মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন কিশোরগঞ্জের জামিয়া নূরানিয়া তারাপাশার ছাত্র মোঃ নাসীরুদ্দীন।

দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিশন ‌আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত দাওরায়ে হাদিসের ২য় কেন্দ্রীয় পরীক্ষার বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হওয়া ফলাফলে জাতীয় মেধাতালিকায় যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী জামিল মাদরাসার ছাত্র মুহাম্মদ শামসুল হক এবং রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসার ছাত্র খলিল আহমদ নাদিম। উভয়েরই মোট নম্বর ৯৩৩। আর দ্বিতীয় হওয়া দুজনের প্রথম জনই কিশোরগঞ্জের মোহা. নাসীরুদ্দীন। তার মোট নম্বর ৯২১। সে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার শান্তুপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. নুরু মিয়ার পুত্র। দ্বিতীয় হওয়া অন্যজন হলেন দেশের অন্যতম প্রাচীন ইসলামী বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রামের পটিয়া মাদরাসার ছাত্র মোহাম্মদ খুবাইব রাজী।

১৯৮২ সালের ২২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ শহরে (কিশোরগঞ্জ-চামড়া বন্দর রোডের পাশে) প্রতিষ্ঠিত হয় নুরানী মাদরাসা। এর প্রতিষ্ঠাতা নুরানী পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষা পদ্ধতির অন্যতম আবিস্কারক ক্বারী মাওলানা রহমতুল্লাহ (রহ.)। লেখাপড়ার মান ভালো হওয়ায় অল্প সময়েই আলোচনায় চলে আসে প্রতিষ্ঠানটি। মানোন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে বর্তমানে এটি জামিয়া (বিশ্ববিদ্যালয়ে) রূপ লাভ করেছে। নুরানী, নাজেরা, হিফজুল কোরআন, শিশু শ্রেণি থেকে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতকোত্তর) এবং উচ্চতর গবেষণার ‌’উলুমুল হাদিস’ বিভাগও চালু রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ১ হাজার ৬২০ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। শিক্ষক রয়েছেন ৮০ জন। এবারের আগেও কওমি মাদরাসার বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় মাদরাসাটি বোর্ড মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়ে কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছে। মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবুল বাশার কৃতী ছাত্র মোহা. নাসীরুদ্দীনের এ কৃতিত্বের জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানান। পাশাপাশি তার সম্মানিত শিক্ষকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।

বিশিষ্ট কলামিষ্ট মাও যুবায়ের আহমেদ বলেন, মোহা. নাসীরুদ্দীন ভবিষ্যতে আরো ভালো করে ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা তার। আমরা তাঁর ত্তরোত্তর মঙ্গল কামনা করি।

Tags: