muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

সুনামগঞ্জের ছাতকে আজ এ বছরের সবোর্চচ তাপমাত্রার রেকর্ড

সুনামগঞ্জোর ছাতকে প্রচন্ড তাপমাত্রা গরমে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড তাপমাত্রা শুধু মানুষ নয়, প্রাণীকুল পর্যন্ত অস্থির হয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা পড়েছে চরম কষ্টে। গত তিন দিন ধরে বৃষ্টির আনোগোনা একেবারে বন্ধ থাকায় প্রখর তাপ এবং ভ্যাপসা গরমে সকাল থেকে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। এমনকি ভ্যাপসা গরমে অধিক মাত্রায় ঘাম ও ক্লান্তি চলে আসায় একেবারে কম সংখ্যক শ্রমিক মাঠে কাজ করতে যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরের রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা দেখা গেছে। অসহনীয় গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। গরমে প্রশান্তি লাভে মানুষ তৃষ্ণা নিবারণে ডাব, শরবত, খাবার স্যালাইন, আইসক্রিম, শসা কিনে খেতে দেখা গেছে। এছাড়া গরমে বেড়েছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধসহ শিশুরা।

বৃহস্পতিবার উপজেলার ইসলামপুর, নোয়ারাই, চরমহল্লা, ছাতক সদরের পৌর শহরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন খোঁজ নিয়ে যানা যায় সকাল থেকে প্রখর সূর্যের তাপ এবং লু-হাওয়া বয়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষরা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। প্রচন্ড তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। গরমের বিরূপ প্রভাব পড়েছে কর্মক্ষেত্রেও। দেখা দিয়েছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। সেই সাথে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে লোড শেডিং। প্রতিদিনই একাধিকবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। কখনো কখনো ১/২ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যাচ্ছেনা। প্রচন্ড গরমে স্বস্তি নিতে অনেক স্কুল, প্রাইভেট স্কুল ও কিন্ডারগার্ডেনে ফ্যান না থাকায় ছাত্র/ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের বাইরে অথবা গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অন্যদিকে, প্রচন্ড খরতাপে কৃষি কাজে কৃষকদের মাঠে কাজ করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। প্রচন্ড গরমে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে পারছেন না। পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষের মধ্যে। প্রচন্ড গরমে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে দিনের স্বাভাবিক কাজ কর্ম। অনেককেই কাজ কর্ম ফেলে প্রচন্ড গরমে একটু প্রশান্তি নিতে গাছের ছায়ায় বসে থাকতে দেখা গেছে।

বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ, ডায়রিয়ায় ও নিওমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক হারে বাড়ছে। বিশেষকরে বৃদ্ধ ও শিশুদেরকে নিয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে এসে ভিড় করছেন অভিভাবকরা। এ অবস্থায় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

Tags: