২০১৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে রাজশাহীতে ৮ জন পরীক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে। এরা গলায় ফাঁস, বিষপান, হারপিক ও ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী পরীক্ষার্থীরা হলো, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার রক্ষিতপাড়া গ্রামের আমজাদের ছেলে
তপু, নগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকার মাহবুবের মেয়ে ইতি, এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজার এলাকার বাসিন্দা সোহানা, আরএমপির কাটাখালি থানা এলাকার আজগরের মেয়ে শিখা ও নাটোর জেলার বাঁশবাড়িয়া এলাকার সেলিমের মেয়ে শ্যামা। বাকি তিনজনের নাম পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্যামার অবস্থা আশংখাজনক বলে রামেকের চিকিৎসক জানিয়েছেন।
রামেক থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টটা পর্যন্ত ৮ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কারণে বিভিন্নভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৮ জনের মধ্যে ৭ জন রাজশাহী মহানগর ও জেলার এবং ১ জন নাটোর জেলার পরীক্ষার্থী। বর্তমানে তারা হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতাল পুলিশ বক্সের এসআই রফিকুল বলেন, পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় ৮ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে অনুষ্টিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বৃহস্পতিবার দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী বোর্ডে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয় এবার পাসের হার ৬৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত ৭ বছরের মধ্যে এ বছর থেকে থেকে খারাপ রেজাল্ট হয় রাজশাহী বোর্ডে।