muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

হাসনাত করিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরীর আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

হাসনাত রেজা করিমের পক্ষে এদিন আদালতে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী হাসিব উর রশীদ। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় হাসনাত করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি ওই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। তিনি চার্জশিট হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা তার জামিন প্রার্থনা করছি। তবে আবেদন করলেও শুনানির সময় তিনি আদালতে উপস্থিত থেকে কিছু বলেননি।

সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শেখ রকিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে হাসনাত রেজা করিমের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়া চার্জশিটভুক্ত ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন মৃত্যুবরণ করায় তাদেরও অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। সে হিসেবে ৮ জনের বিচারই আদালতে অনুষ্ঠিত হবে। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানের সময় এবং ৫ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।

চার্জশিটভুক্ত জীবিত ৮ জন হলেন-হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

আসামিদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ পলাতক এবং অপর ৬ আসামি কারাগারে রয়েছেন। পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে নিহত পাঁচজন হলেন-রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানের সময় নিহত ৮ জন হলেন-তামিম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। রাতভর উৎকণ্ঠার পর ২ জুলাই সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে সংকটের অবসান ঘটে।

Tags: