যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া পশুহাট থেকে ৯টি জেব্রা উদ্ধার ঘটনার মামলায় চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই খাইরুল আলম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের আব্দুল বিশ্বাসের ছেলে তুতু, পুটখালী গ্রামের উত্তরপাড়ার আবুল সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেন মুক্তি, সামটা গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী, নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার বকুলনগর গ্রামের আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার ছেলে ঢাকা উত্তরার বাসিন্দা রানা ভূঁইয়া, বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার বশিকোড়া চকপাড়া গ্রামের আহাদ আলী সরদারের ছেলে ঢাকা তুরাগ থানার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা কামরুজ্জামান বাবু এবং মৃত জাকির হোসেনের ছেলে ইয়াছিন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৮ মে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পেরে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল পশু হাটে তুতুর খাটালে কয়েকটি জেব্রা ভারতে পাচারের জন্য এনে রাখা হয়েছে। এর ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় যশোরের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ওই খাটাল থেকে ৮টি জীবিত ও ১টি মৃত বিদেশি বন্যপ্রাণী জেব্রা জব্দ করা হয়। তবে সে সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জেব্রা চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে এসআই মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে শার্শা থানায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত তুতু ও আলমগীর হোসেনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। বাকি চারজন আটকের পর জামিনে মুক্ত রয়েছেন।