muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

বাজিতপুর

বাজিতপুরে রোজিনার পড়ালেখা অনিশ্চিত! : বিত্তমানদের এগিয়ে আসতে এলাকাবাসীর আহ্বান

আশা এমন এক জিনিস, যা মৃত্যুর শেষ ক্ষণটি পর্যন্ত বেঁচে থাকে। আশায় বার বার প্রলোভিত হয়েও মানুষ তাকেই আঁকড়ে ধরে। আশাবাদী মানুষ আবার সব দেশে একরকম হয় না। একেক দেশের মানুষের আশার মাপকাঠি ভিন্ন ভিন্ন হয়। বাংলাদেশের মানুষ পৃথিবীর সব দেশের মানুষের চেয়ে সবচেয়ে বেশি আশাবাদী। তারা আশায় আশায় দিন কাটায়। ব্যর্থ হলেও হতাশ না হয়ে পুণরায় আশায় বুক বাঁধে।

এমনটিই দেখা গিয়েছিল বাজিতপুর উপজেলার সরারচর ইউনিয়নের পুরানখলা গ্রামের নিধু মিয়ার মেয়ে রোজিনার। নিধু মিয়া ও তার স্ত্রী দু’জনেরই শারীরিক সমস্যা ছিল। নিধু মিয়ার দুই ছেলে এক মেয়ে। বড়ছেলে বেশ কিছুদিন আগে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যায়। আর বড়ভাই আলাদা হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সকল দায়িত্ব পরে রোজিনার বড় ভাই আবুলের উপর। আবুল তার বড় ভাইয়ের সিএনজি ভাড়া চালিয়ে সংসার চালাতো।

নিত্যদিনের মত সংসারের তাগিদে সিএনজি চালক আবুল মিয়া গত ১৫ আগস্ট বুধবার কাজের উদ্যেশে বের হয়। আর সেদিনেই কুলিয়ারচরে বাস- সিএনজি’র মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক আবুল মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর ঘটনায় বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে মাঝে মাঝে এমন কিছু দুর্ঘটনা ঘটে যা রোজিনার মত আঁকাশ দোয়া স্বপ্ন মানুষের মন দুমড়ে-মুচড়ে দেয়।

রোজিনা সরারচর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর সুরমা শাখার ছাত্রী। ভাই হারানোর পর  মা বাবা এখন পাগল। পরিবার চালানোর মত তার আর কেউ নেই। পরিবারের সবাই সবার বোঝা,কে কার দায়িত্ব নিবে? রোজিনার আঁকাশ ছোয়া স্বপ্ন এখন দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। সমাজ ও রাষ্টের দায়িত্বশীলদের সহযোগীতা ছাড়া তাদের জীবনের অনিশ্চয়তা কাটানোর আর কোন পথ নেই।

স্থানীয় কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,রোজিনার পড়ালেখার জন্য ছাঁয়া হিসেবে ছিল তার ভাই আবুল। সে সিএনজি চালিয়ে তার পড়ালেখার খরচ যোগান দিতেন। গত ১৫ আগস্ট সড়ক দূর্ঘটনায় তার মৃত্যু হওয়ায় তার পড়ালেশা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই বৃত্তমানদের পাশে থাকার আহ্বান জানান তারা।

Tags: