muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত রাজশাহীর কারিগররা

পূজো মানে এলো শরৎ… শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে এখনও মাসখানেক বাকি। তবে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরীতে প্রতিমা তৈরীর কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। পাল বাড়ির কারিগররা কাদা-মাটি, খড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এই কার্যক্রম। পিছিয়ে নেই রাজশাহীর পাল বাড়ির কারিগররাও। যেন দম ফেলার সময় নেই কারো।

আসন্ন দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে নগরীর মিয়াপাড়ায় ধর্মসভা, গণকপাড়ার বৈষ্ণব সভা, ঘোড়ামারা,’ শেখেরচক, কুমারপাড়া, সাগর পাড়া, গনক পাড়া ও মিয়াপাড়া এলাকায় প্রতিমা বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।

গত বছর রাজশাহী মহানগরীতে ৭০টি মণ্ডপে পূজা অর্চনা হয়। এবার আরো বেশি হবার সম্ভবানা রয়েছে। প্রতিমা তৈরির কারিগররা বলছেন, প্রায় মাস তিনেক আগে থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এবার মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হবার কারণে সমস্যা হচ্ছে। সেই সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা তৈরির অর্ডার এখনও নেয়া হচ্ছে। আগামী ৩-৪ দিন পর অর্ডার নেয়া বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ একটি প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে রংয়ের আঁচড় দিতে কমপক্ষে ১৫/২০ দিন লেগে যায়। ফলে এখন সময় কম। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর প্রতিমার দাম কিছুটা বেশি। প্রতিটি প্রতিমা ভেদে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা মজুরি দিয়ে প্রতিমা তৈরি অর্ডার গ্রহণ করেছেন কারিগররা।

নগরীর আলুপট্টির প্রতিমা কারিগর কার্তিক চন্দ্র পাল জানান, তিন মাস আগে থেকে তারা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করছেন। দূর্গা পূজা উপলক্ষে ২৩টি প্রতিমা তৈরির অডার পেয়ে কাজ শুরূ করেন তিনি। এখন প্রতিমা গুলোতে মাথা লাগানোর কাজ চলছে। এবার প্রতিমার মূল্য সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়েছে।

নগরীর আলুপট্টির কুমারপাড়া এলাকার প্রতিমা কারিগর গণেষ চন্দ্র পাল  জানান, তিনি তিন মাস আগে দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরির অডার পেয়ে কাজ শুরু করেন। এখনও আনেক কাজ আছে ফিনিসিং, তারপর রঙের কাজ শেষ করে তাদের মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা পৈাছাতে হবে।  প্রতিমা স্থাপনের ১০ থেকে ১২দিন আগে এগুলো রঙের কাজ শুরু করা হবে।

এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন সুষ্ঠুভাবে পূজা তৈরি থেকে শুরু করে, মূল উৎসবের সকল আনুষ্ঠানিকতা যেন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে সেজন্য মহানগর পুলিশও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এবারো নির্দিষ্ট স্থানে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূজা বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার দুর্গাদেবী আসবে ঘোড়ায় চড়ে। দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামী ১৪ অক্টোবর দেবীর বোধন এর মধ্য দিয়ে। শুরু হবে ৬দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গা উৎসব। ১৫ অক্টোবর আমন্ত্রণ ও অধিবাস, ১৬ অক্টোবর দেবীর সপ্তমীবিহিত, ১৭ অক্টোবর দেবীর মহাঅষ্টমীবিহিত, কুমারী পূজা, সন্ধি পূজা, ১৮ অক্টোবর দেবীর নবমীবিহিত এবং ১৯ অক্টোবর দশমীবিহিত পূজা, সমাপন ও দর্পন বিসর্জন এবং সন্ধ্যা আরত্রিকের পর প্রতিমা বির্সজনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।

এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম জানান, পূজা আগামী মাসের মাঝামাঝি তাই এখনও এ নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। অতি দ্রুত পূজোর সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tags: