muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

গফরগাঁওয়ে প্রবাসির স্ত্রী-সন্তান অপহরণ : ২০ ঘন্টা পর স্ত্রীকে ছেড়ে দিলেও সন্তানকে আটকে রেখে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী

নজরুল ইসলাম জুয়েল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ।। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও আড়াই বছরের শিশু সন্তানকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা। এরপর অপহৃতার মেয়ের কাছে ফোন দিয়ে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে । মুক্তিপেণের টাকা হাতে পেলেই ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানায় তাদেরকে। অন্যথায় বড় ধরণের ক্ষতির হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।  এদিকে গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে অপহৃত প্রবাসীর স্ত্রীকে গফরগাঁও মধ্যবাজারে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংকের সামনে অপহরণকারীরা ফেলে রেখে যায়। আর  দুই বছরের শিশু ছেলে মোহাম্মদ আলীকে আটকে রেখেছে অপহরণকারীরা।”

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে গফরগাঁও থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই নারী পুলিশকে ফোন দিয়ে জানায় তাকে অপহরণকারীরা দুপুরে অগ্রণী ব্যাংকের সামনে ফেলে রেখে গেছে। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে অপহৃতা নারীকে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ঘটনার যাচাই শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।”

এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পূর্বে গফরগাঁও পৌর এলাকার বিপনীবিতান থেকে কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তারা অপহৃত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পৌর এলাকায় অবস্থিত রোস্তম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই অপহৃতার মেয়ে ঝুমা আক্তার বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ‘

পুলিশ ও পরিবারের লোকজন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে গফরগাঁও মধ্যবাজারে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন গফরগাঁওয়ের দৌলতপুর গ্রামের প্রবাসী বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (৪০)। পরে আড়াই বছরের শিশু ছেলে মোহাম্মদ আলীকে সাথে করে পৌর এলাকার বিপনীবিতানে বিকেল পর্যন্ত কেনাকাটা করেন। কেনাকাটা শেষে সন্ধ্যার আগে দৌলতপুর নিজ বাড়ি যাওয়ার লক্ষে পৌর এলাকার গো-হাটা ইজিবাইক স্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে রোস্তম আলী গোলন্দাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে একটি মাইক্রোবাস তাদের পথ আগলে দাঁড়ায়। “

পরে মাইক্রোবাস থেকে অজ্ঞাত নারী-পূরুষ দ্রুত নেমে তাসলিমা ও তার শিশু সন্তানের নাকে রুমাল চেপে অজ্ঞান করে তুলে নিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাত স্থান থেকে সন্ধ্যায় অপহৃতার মুঠোফোন থেকে অপহৃতার মেয়ে ঝুমা আক্তারকে ফোন করে অপহরণকারীরা। এ সময় অপহরণকারীরা জানায় তার ছোট ভাই ও মাকে ফেরত পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে দিতে হবে দশ লাখ টাকা। মুক্তিপণের টাকা হাতে পেলেই ছেড়ে দেয়া হবে তাদের। মুক্তিপনের দশ লাখ টাকা দিতে রাজি হলেই লেনদেনের জায়গা নির্ধারিত হবে বলে অপহরণকারীরা জানায়।”

অপহৃতার কন্যা ঝুমা আক্তার বলেন, অপহরণকারীরা মা ও ভাইকে ছেড়ে দিতে মুক্তিপণ বাবদ দশ লাখ টাকা চেয়েছে। কিন্তু টাকাগুলো কিভাবে নিবে বা কোথায় পৌছাতে হবে সে বিষয়ে তখন কিছু বলেনি। কিন্তু আজ বুধবার দুপুরে আমার মাকে অপহরণকারীরা গফরগাঁও মধ্যবাজারের অগ্রণী ব্যাংকের সামনে ফেলে রেখে গেলেও আমার ছোট ভাই অবুঝ শিশুকে আটকে রেখেছে।

স্থানীয় যশরা ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম রিয়েল মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠকে জানায়, অপহৃত নারী উদ্ধার হলেও তার দুই বছরের শিশু সন্তান উদ্ধার হয়নি। ধারনা করা হচ্ছে মুক্তিপণের টাকার জন্য শিশুটিকে আটকে রেখেছে অপহরণকারীরা।”

Tags: