অষ্টগ্রামে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষে গর্ভবতী নারী সহ ২০ জন আহত হয়েছে। উপজেলা হাসপাতাল থেকে আশংকাজনক অবস্থায় একজন গভবর্তী সহ দুজনকে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও লুটপাট, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের আড়ার পাড়ের মোঃ রাশিদ মিয়া ও আবু ছালেক মিয়ার মধ্যে গত বি.এস রেকর্ড হওয়ার পর থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। গ্রাম্য শালিস বিচারে সমাধান না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এ রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা করা হয়। আদালত থেকে বাদী-বিবাদীর উভয় পক্ষের নোটিশ আসে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর রামদা, লাঠি, হলঙ্গা, ইত্যাদি মারাত্নক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিজেরা আত্নীয়-স্বজন ও ভাড়াটিয়া লোকজন এসে রাশিদ মিয়ার বাড়ি-ঘর পাকরাও করে এবং মারধর-লুটপাট শুরু করে। মারামারিতে রাশিদ (৫০), পিতা মৃত – আ: নুর, নাসির মিয়া (৩৫), পিতা – মাও: হাজী নুর মুহাম্মদ, খালেক মিয়া (৫২), কাজল মিয়া (৪৫), পিতা – আব্দুল মালেক, আমিন (১৮), পিতা মৃত – আঃ রউফ, মবিন মিয়া (১৯), পিতা – কাজল মিয়া, মাজেদা বেগম (৪৫), স্বামী – রেনু মিয়া, ৩-৪ মাসের গর্ভবতী আজিদুন নেছা, স্বামী – রশিদ মিয়া, গর্ভবতী রাশিদা বেগম (২৫), স্বামী – আবুল হামিদ, মোঃ জিয়াউল হক (৪০), পিতা – মাওলানা হাজী নুর মোহাম্মদ, মোঃ নিজামুল হক (৪৭), পিতা – হাজী আমিনুল হক, মতি মিয়া (১৯), পিতা – খালেক মিয়া, মুক্তার মিয়া (৪৬), পিতা মৃত – তালেব মিয়া, কাশেম মিয়া (১৯), পিতা – আফতাব মিয়া, পলাশ মিয়া (২৫), পিতা – সাবু মিয়া আহত হওয়ার পর অষ্টগ্রাম উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মোঃ আঃ রশিদ মিয়া ও গভবতী আজিদুন নেছার অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে তাদের উপজেলা হাসপাতাল থেকে ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও বাড়ি ভাংচুর এবং ৪০ হজার টাকার মালামাল লুট হয়েছে বলে জানা গেছে।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানাগেছে, আবু ছালেক মিয়ার পক্ষের মঞ্জু (২২), ফুল মিয়া (২৬), জিতু মিয়া (৩২), আবু ছালেক (২৫), খুদেজা (৩০) নামের ৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এব্যপারে অষ্টগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম মোল্যা জানান, আমরা উভয় পক্ষের দরখাস্ত পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।