তাহিরপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে সেলাই ও মাশরুম চাষে প্রশিক্ষনার্থী বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে।
উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক কর্মসূচী (আইজিএ) প্রকল্পে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় তাহিরপুরের অধীনে ৩ মাস মেয়াদে প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষনার্থী বাছাইয়ে প্রশিক্ষাণার্থীদের মধ্যে সেলাই কাজে ২০ জন ্এবং মাশরুম চাষে ২০ জনকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সমহারে তালিকা তৈরী করা হলে প্রতি ইউনিয়নে ৫ থেকে ৬ জন অন্তর্ভূক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু ফলাফলের তালিকায় দেখা ৪০ জনের মধ্যে সবাই তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন ও বালিজুড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা। এর মধ্যে ১২ জনের ঠিকানাই হচ্ছে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের বীরনগর,জয়নগর ও ধুতমা গ্রামের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রার্থী জানান,প্রশিক্ষণে বাছাই কমিটি সভাপতি তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনি তার নিকট আত্মীয়দের বাছাই করেছেন। এমনও প্রার্থী রয়েছে তারা ইন্টারভিউতে অংশ নেয়নি তাদের ইন্টারভিউ শেষে শুধু তাদের নাম তালিকাতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ৩ মাস ব্যপী এ প্রশিক্ষণে দৈনিক একশত টাকা ভাতা হিসাবে সর্ব সাকুল্যে নয় হাজার টাকা পাবে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের প্রশিক্ষক নুরুল আমিন বলেন,উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান যাদের নাম প্রস্তুত করে আমাদের কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা আক্তার বলেন, দূরবর্তী ইউনিয়ন থেকে প্রশিক্ষণে আসতে তাদের খরচ বেশী পড়বে এজন্য আমরা সদর ইউনিয়নে প্রশিক্ষণার্থী বেশী রেখেছি। তালিকা তৈরী আমি একা করিনি বাছাই কমিটি করেছে।