নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য হয়েছে। কামাল সাহেবরা বিএনপিকে ব্যবহার করছেন। আর বিএনপি ভাবছে ড. কামাল সাহেবকে ব্যবহার করছেন। যেন দুই শয়তানের লড়াই হচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা নির্বাচনের জন্য মাঠে নামেনি, তারা নির্বাচন বানচাল করতে মাঠে নেমেছে। ড. কামাল সাহেব আমরা কী স্টুপিড। আপনি তাই ভেবেছেন। আপনি বলেছেন ২০ দলের সঙ্গে ঐক্য হয়েছে, কিন্তু জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য হয়নি। বিএনপির সঙ্গে ঐক্য হয়েছে কিন্তু তারেক রহমানের সঙ্গে না। এসব শুনে আমার লজ্জা লাগে ড. কামাল সাহেব।

শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইরে একেএম সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, আপনারা ষড়যন্ত্র করলে এবার ছাড় পাবেন না। কারো বাড়িতে যদি এবার আঘাত করা হয় তাহলে আমরা বসে থাকব না। এখানে যদি আঘাত করা হয় তাহলে ঢাকায় গিয়ে আঘাত করে আসব। যতবার নারায়ণগঞ্জ জেগেছে ততবার সারাদেশ জেগেছে। এটা ইতিহাসের সাক্ষী। নারায়ণগঞ্জ থেকে অনেক আন্দোলন হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে জাগরণ শুরু হবে। শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসবে।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল আর ড. কামালরা এখন নির্বাচনের জন্য মাঠে নামেননি। তারা মাঠে নেমেছেন নির্বাচনকে বানচাল করতে। বিএনপি জানে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। সে কারণে নির্বাচন থেকে তারা সরে যেতে চায়। তারা এমন কিছু ব্যক্তিকে কাছে টেনে নিয়েছে যারা ওয়েস্টার্ন কান্ট্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের ব্যবহার করে কিছু একটা করতে চাইছে তারা।

শামীম ওসমান আরও বলেন, ড. কামালদের বলছি, যদি মনে করেন আমাদের ওপর আঘাত করবেন, করেন। আপত্তি নাই। কিন্তু আমার দেশের একজন জনগণের ওপর আক্রমণ হলে নারায়ণগঞ্জবাসী আর বসে থাকবে না। তখন নারায়ণগঞ্জবাসী ঢাকায় গিয়ে উঠবে। দেখব তখন আমাদের কে ঠেকায়। এতদিন নেত্রীর কথায় ধৈর্য ধরেছি। কিন্তু আর না। জনগণের ওপর হামলা করলে বসে থাকব না আমরা।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা প্রস্তুত থাকেন। এই লড়াইয়ে আমরা জিতব। আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা। আবারো ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ।

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি ও শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ।