বরগুনার তালতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছোটবগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৌফিকউজ্জামান তনুর ওপর হামলা করেন উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী ও তার সহযোগীরা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে জ্যোৎস্না উৎসব থেকে ফেরার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীকে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই ওই আওয়ামীলীগ নেতা তৌফিকউজ্জামান তনু তালতলী থানায় এসে দুলাল ফরাজীর নাম উল্লেখ করে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ মামলার আসামী দুলাল ফরাজীকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে আহত তৌফিকউজ্জামান তনুকে চিকিৎসার জন্যে বরিশাল শের-এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়- রাজনৈতিক কারনে ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকউজ্জামান তনুর সাথে দুলাল ফরাজীর পূর্ব বিরোধ ছিলো। শুক্রবার রাতে তালতলীর শুভ সন্ধ্যা বীচে বরগুনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জ্যোৎস্না উৎসব থেকে ফেরার পথে পূর্ব জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে তৌফিকউজ্জামান তনুর ওপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালায় দুলাল ফরাজী ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুলাল ফরাজীকে গ্রেফতার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে গ্রেফতারকৃত দুলাল ফরাজীর দাবি, তৌফিকউজ্জামান তনুর সাথে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তিনি বা তার সহযোগিরা কোন হামলা করেনি।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তালতলীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শনিবার সকাল থেকে শহরে পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে।
তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রাজ্জাক হাওলাদার জানান, হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরী সভার মাধ্যমে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দুলাল ফরাজীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। একইসাথে তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য জেলা এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করবে উপজেলা আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে হামলার প্রতিবাদে রোববার বিকেল ৩টায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল,প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচী নেয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে এবং আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য শহরে পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোড়দার করা হয়েছে।