muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

হামলাকারীদের তথ্য দিলেই ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার

দশ বছর কেটে গেলেও কেন মুম্বাই হামলার চক্রান্তকারী ও হামলাকীরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানকে এখনই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। শুধু তাই নয়, হামলাকারীদের ধরে দিতে পারলে বা এদের বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারলে ৫০ লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৩৫ কোটি ২১ লক্ষ ৭৫ হাজার) পুরস্কার মূল্য দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন।

রোববার মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারির পাশাপাশি পুরস্কার মূল্যও ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘দশ বছর কেটে গেল, মুম্বাই হামলায় আহত ও নিহতদের পরিবার এখনও বিচারের অপেক্ষায়। যারা পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালিয়েছে বা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না!’

মুম্বাই হামলার মূল চক্রী হিসেবে নাম উঠেছে লস্কর জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে। এই হামলায় তার জড়িত থাকার প্রামাণ্য তথ্য আমেরিকা, পাকিস্তান-সহ আন্তর্জাতিক মহলের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত। কিন্তু তার পরেও দেখা গেছে হাফিজ পাকিস্তানে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ভোটেও লড়ছেন!

এই প্রথম নয়, এর আগেও আমেরিকা মুম্বাই হামলার চক্রীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল। সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না করলে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকেও তাদের চাপে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু তার পরেও পাকিস্তান কেন এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল না, তা নিয়ে যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মাইক পম্পেও।

পম্পেও বলেন, ‘আমরা সমস্ত দেশকে ডেকেছি। বিশেষ করে পাকিস্তানকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষেদের নিয়ম মেনে মুম্বাই হামলায় জড়িত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে লস্কর-ই-তইবা ও তার সহযোগী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে।’

উল্লেখ্য, ২৬ নভেম্বর ২০০৮ সন্ধ্যা। মুম্বাইয়ের বুকে আছড়ে পড়েছিল জঙ্গিদের তাণ্ডব। তিন দিনের সেই তাণ্ডবে ৬ মার্কিন নগারিকসহ প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৬৬ জন মানুষ। আহতও হয়েছিলেন অনেকে। এই দিনটা এলেই ভয়ঙ্কর সেই স্মৃতি উস্কে দেয় ভারতীয়দের। সে দিন আরব সাগর দিয়ে মুম্বাইয়ে ঢুকে পড়েছিল ১০ লস্কর জঙ্গি। মুম্বাইয়ের ব্যস্তবহুল জায়গাগুলোতে গুলি, বোমা-গ্রেনেড নিয়ে তাণ্ডব চালায় তারা। তাজ হোটেল জঙ্গিদের দখলে চলে যায়। সেনা-পুলিশ ও এনএসজি কম্যান্ডোদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নয় জঙ্গির মৃত্যু হয়। একমাত্র জীবিত ধরা পড়ে আজমল কসাব। তার ফাঁসি হয়। সূত্র : আনন্দবাজার

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ/এন

 

Tags: