muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

স্ত্রীকে সাপ ভেবে ব্যাট দিয়ে পেটালেন স্বামী

স্ত্রী ফ্যাশন সচেতন। তাই নানারকম শৌখিন পোশাক কিনে পরতেন, তুলতেন নানা ছবি। তারই ধারাবাহিকতায় সাপের চামড়ার মত দেখতে একটি পোশাক কিনে আনেন ওই মহিলা এবং তা পরে রাতে শুয়ে যান বিছানায়। হুট করে তা দেখে সাপ ভেবে স্ত্রীকে পেটাতে শুরু করেন ওই মহিলার স্বামী।

এমন ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়। ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, সাপের চামড়া মত দেখতে পোশাক কিনে আনেন ওই নারী। পোশাকটি পা পর্যন্ত ঢাকা। সেটা পরে সারা দিন নানা ছবিও তোলেন। পোশাকটি অনেকপছন্দের ছিল বলে ওই মহিলা সেটা পরেই রাতে শুয়ে পড়েন। সঙ্গে গায়ে চাদর ঢাকা নেন ওই মহিলা। তবে পা দুটো চাদরের বাইরেই ছিল।

ওই মহিলার স্বামী সেদিন রাতে একটু দেরীতে ফিরেন। ঘরে ঢুঁকেই চমকে যান ওই নারীর স্বামী। দেখেন বিছানার মধ্যে সাপ! আর তা দেখে ঘরের মধ্যে থাকা ব্যাট দিয়ে স্ত্রীকে সাপ ভেবে মারতে শুরু করেন। এতে করে চিৎকার দিয়ে ওঠেন তার স্ত্রী। পরে তিনি ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু ততক্ষণে তার স্ত্রীর পা রক্তাক্ত হয়ে যায়, ভেঙ্গে যায় এক পা।

ঘটনাটি গত বছরের শেষের দিকে ঘটে বলে খবরে বলা হয়েছে।

এমন সংবাদ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়।

অনেকে বলেন, মহিলাদের ফ্যাশনের ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার। আবার কেউ লিখেছেন, মহিলাদের জন্য দুঃখের হলেও খবরটা কিন্তু অনেক মজার।

বাংলাদেশের ২০ বছর বয়সী তরুণী ফারিহা সালমা দিয়া বাকের। তিনি এর মধ্যে হংকংয়ের আইন পরিষদে সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন। লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের খুব কম দক্ষিণ এশীয়দের একজন ফারিহা। তিনি এখন সেখানকার এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে দেয়া সাক্ষাতকারে ফারিহা বলেন, সরকার ও প্রশাসনে আরো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখতে চাই। হংকং যেন সংখ্যালঘুদের বসবাসের সেরা শহর হয়।

সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ফারিহার বাবা-মা হংকংয়ে আসেন ২৫ বছর আগে। হংকংয়ের কাউলুনে বাবা-মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন তিনি। ফারিহা প্রতি দুই বছর অন্তর বাংলাদেশে আসেন।

ফারিহা বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, তেলেগু, ফিলিপিনো, মান্দারিন ও স্থানীয় ক্যান্টনিও উপভাষা জানেন।

তিনি বলেন, হংকংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ক্যান্টনিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি এই ভাষা ভালো না জানেন তবে উচ্চতর শিক্ষা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাওয়া কঠিন।

ভিনদেশিদের হংকংয়ের মূলস্রোতের অংশ হতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। বাণিজ্য নগরীটিতে যারা সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচিত হন, স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে বাসাভাড়া, চাকরি সব ক্ষেত্রেই তাদের নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়।

ফারিহা আরও বলেন, আমি সরকার ব্যবস্থায় আরও বেশি সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ চাই। আমি চাই হংকংয়ে সংখ্যালঘুরা যেন আরও উন্নত জীবন পায়।

Tags: