বরগুনার আমতলী উপজেলার পুর্ব তারিকাটা গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের ভুয়া পিলারসহ চার প্রতারক গ্রেফতার করেছে আমতলী থানা পুলিশ। প্রতারকদের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য বাহাদুর হোসেন হাওলাদারের ছেলে সেলিম মাহমুদ ভাই মনির হাওলাদার ও আমিনুল হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া পিলার বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে আসছিল। শুক্রবার দিবাগত রাতে পুর্ব তারিকাটা গ্রামের আমিনুল হাওলাদারের বাড়িতে বসে পিলার বেচাকেনা করতে ছিল প্রতারকচক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাড়ীতে অভিযান চালায়। এ সময় সেলিম মাহমুদ, সিদ্দিকুর রহমান, আবু হুরায়রা ও আবু সালেহ ভুইয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে ওই বাড়ীতে তল্লশি চালিয়ে দেড় কেজি ওজনের ভূয়া পিলার সদৃশ্য বস্তু জব্দ করে। পুলিশের টের পেয়ে অপর দুই প্রতারক আমিনুল ইসলাম ও মনির পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই আবদুল্লাহ আল মামুন বাদি হয়ে ছয়জনকে আসামী করে প্রতারনা মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার বিকালে পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামীদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়। আসামী সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ী মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত্যু আবদুস ছত্তার এবং আবু হুরায়রার বাড়ী ময়মনসিংহ জেলার গফরগাও উপজেলার লক্ষণপুর এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত্যু আব্দুল্লাহ হারুন। আবু সাইদ ভুঁইয়ার বাড়ী একই জেলার গফরগাঁও পৌর শহরে। তার বাবার নাম মৃত্যু আবদুল মজিদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, সাবেক ইউপি সদস্য বাহাদুর হাওলাদারের ছেলে সেলিম মাহমুদ ও তার দুই চাচাতো ভাই মনির ও আমিনুল এলাকার চিহিৃত পিলার ব্যবসায়ী। তারা পিলারের নাম করে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ভুয়া পিলার বেচাকেনার সাথে জড়িত চার প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।