muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

মীরসরাইতে রবি মৌসুম ফসলের ফলন ভাল ও কৃষি জমি রক্ষার দাবী : সংসদে ইঞ্জিঃ মোশাররফ হোসেন

প্রবাদে আছে  “বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ”। কৃষি একটি দেশের সভ্যতার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে একটি রাষ্ট্রে।কিন্তু সভ্যতার বিকাশে সমগ্র পৃথিবীতে  শিল্প বিপ্লব ও নগরায়নের ফলে ভূমি চাষাবাদ না হয়ে শিল্প কল কারখানা ও আবাসন ব্যবসার জন্য বিনিয়োগকারীদের নিকট ভূমি হস্তান্তরিত হয়ে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে কৃষি চাষাবাদের জমি।কিন্তু বাংলাদেশে কারখানা ও আবাসন ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও ভূমি কিন্তু এক শতক ও বৃদ্ধি হয়নি।

১৯৭১সালে বাংলা ভাষা রাষ্ট্র ভাষার দাবীতে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাকিস্থানকে বিতাড়িত করার পর আন্তর্জাতিক সীমানায় নতুন ভূমি এক ইঞ্চি সংযোজন না হলেও মিয়ানমারের নিকট থেকে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বাংলাদেশের জলসীমানা বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের থেকে জানা যায় বাংলাদেশের কৃষক কৃষি চাষাবাদে ব্যাপক মাএায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করার ফলে কৃষি মাটি হারাচ্ছে উর্ভরতা ও দেশের জলবায়ু পরিবর্তন সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ ।

অপরদিকে কৃষি ফসল ফলনের  আয় ব্যয় হিসাব করলে ফসল চাষাবাদ অলাভজনক বলে মন্তব্য করে তৃণমূল পর্যায়ের প্রান্তিক কৃষক।তবে অনেকের মতে যদি সরকার এই খাতে ভূর্তুকি না দেয় তাহলে এই কৃষি বন্ধ হওয়ার আশংকা রয়েছে বাংলাদেশে।

অতঃপর দেশ বিদেশের নানা কীটনাশক কোম্পানী ও তাদের স্থানীয় ডিলারদের দৌরাত্ম কমানোর জোর দাবী জানায় পরিবেশ আন্দোলনের বিভিন্ন সমাজকর্মী।

এতসব  প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা সরকারের কৃষি বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চেষ্টায় সারাদেশের মত মীরসরাই কৃষি অফিস ভাল ফসল ফলনের দিক নির্দেশনার কাজ চলমান রেখেছে।তারই ধারাবাহিকতায়  মীরসরাই উপজেলা কৃষি  অফিস সূএে জানা যায় অএ উপজেলায় এই বছরে রবি মৌসুমে সাত ধরনের ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে।

যদি ও রবি মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে গেছে।এরই মাঝে কিছু এলাকার কৃষক ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হলে বেশীরভাগ ফসল এখন ও মাঠে রয়েছে।

এই মৌসুমে অএ উপজেলায় ডাল জাতীয়  ফসল বেশী আবাদ হয় সেগুলো হলো মুগ ২৮০০ হেক্টর,ফেলন ২৬০০ হেক্টর,মসুর ৮০ হেক্টর,খেসারী ১০০০ হেক্টর,মটর ৩০ হেক্টর,ছোলা ০২ হেক্টর,মাশকলাই ০৪হেক্টর।তবে এইসব ফসল কৃষকের ঘরে পৌঁছাতে বাংলা ১৪২৫ সনের চৈএ মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত অতিবাহিত হতে পারে বলে নিশ্চিত করে মীরসরাই উপজেলা কষি অফিস।এই সব ফসল মীরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ৫টি ইউনিয়নে আবাদ হয় বলে জানা যায় ইউনিয়নগুলো হলো যথাক্রমে ৬নং,১০নং,১৩নং,১৪নং এবং ১৬নং সাহেরখালী ইউপিতে।

অপরদিকে তৃণমূলের প্রান্তিক চাষীরা জানান এই বছর ফসল কিছুটা বৃষ্টিতে নষ্ট হলেও এখনো ভাল পর্যায়ে আছে।তবে বৈরী আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত কারণে অতিবৃষ্টি এবং  অনাবৃষ্টি যদি না হয় তাহলে ভাল ফলন পাবেন বলে  মত প্রকাশ করেন একাধিক কৃষক।

সর্বশেষ মীরসরাই উপজেলার কৃষকশ্রেণীর নাগরিকগণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নিকট একটাই দাবী করে কৃষি সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষ ও  মীরসরাই উপজেলা প্রশাসন এর মাধ্যমে যথাযথ কতৃপক্ষকে বিনীত অনুরোধ করে বলেন যে  “বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ”এই প্রবাদটি বিবেচনা করে দেশের সকল উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ করার।

দেশের উন্নয়ন হবে তবে কৃষি ও কৃষকের জমি অধিগ্রহণ করে নয়।পতিত জমি ও সরকারের ১ নং খতিয়ানভুক্ত এবং সরকারী জায়গায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদকৃত জমি, মেয়াদ বিহীন বন্দোবস্তি এবং ভূয়া দাগ,খতিয়ান,হাতে করা সিট করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভূমি দস্যুতার কবলে থাকা জমিতে যেন শিল্প কল কারখানা গড়ে উঠে।সে দিকে বিশেষ নজর দিতে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারীদের প্রতি অনুরোধ করেন এই অঞ্চলের কৃষি জনপদের নিরীহ নাগরিকবৃন্দ।

এছাড়া ও কিছুদিন পূর্বে কৃষি জমিতে কোন উন্নয়নের কাজে অধিগ্রহণ না করার জন্য মহান জাতীয় সাংসদে দাবী জানান চট্টগ্রাম-১আসনের সাংসদ সদস্য,বাংলাদেশ  আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য,গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রালয়ের সাংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।


Tags: