নরওয়ে উপকূলের পশ্চিমাঞ্চলে একটি প্রমোদতরীর ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ায় ১৩০০ যাত্রীকে উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারীরা। আরোহীদের বেশিরভাগই যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রের নাগিরক। শনিবার উপকূলের দিকে ফেরার পথে ভাইকিং স্কাই নামের প্রমোদতরীটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুর্গত হওয়ার সংকেত পাঠায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩০০ যাত্রীকে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে উদ্ধার করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, প্রচণ্ড ঢেউয়ের মুখে পড়ে জাহাজটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
প্রমোদতরী ভাইকিং স্কাই ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত যাত্রা করে আসছে। নরওয়ের উত্তর পূর্বের শহর ট্রমসো থেকে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর স্ট্রাভ্যাঙ্গারে যাওয়ার পথে শনিবার বিকেলে ভাংকিং স্কাই প্রমোদ জাহাজটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিতে ডাক দেওয়া হয় পাঁচটি হেলিকপ্টার ও বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী জাহাজ। এ সময় উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেওয়া একটি জাহাজেরও ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
বিবিসি জানিয়েছে, জাহাজের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর জাহাজটির চারটির মধ্যে তিনটি ইঞ্জিন আবারও চালু করে টাগবোটের সহায়তায় জাহাজটি নিকটতম বন্দর অভিমুখে রওনা হয়। ইঞ্জিন বিকলের কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ভাইকিং স্কাইয়ের সহায়তায় এগিয়ে যান মৎসজীবী জ্যান এরিক ফিস্কারস্ট্রান্ড। তিনি স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বড় কোনও দুর্ঘটনার কয়েক মুহূর্ত আগেই রক্ষা পেয়েছে জাহাজটি। তিনি জানান, ইঞ্জিন চালু করতে না পারলে জাহাজটি পাথরের সঙ্গে ধাক্কা খেত।
জাহাজটির আরোহীদের মধ্যে ছিলেন দক্ষিণ ইংলান্ডের বাসিন্দা ডেরেক ব্রাউন এবং তার স্ত্রী এস্তার। ডেরেক বলেন, রাতে সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল ছিলো। জাহাজটি দুলতে থাকে। সকালে নাস্তা করে নিয়ে আমরা দুপুরে চলচ্চিত্র দেখতে যাই। আর তার পরে হঠাৎ করেই আলো বন্ধ হয়ে যায়। পরে আমাদের হেলিকপ্টারে তুলে নেওয়া হয়। এই অভিজ্ঞতা ছিল ভয়ঙ্কর।
উদ্ধার পাওয়া আরেক যাত্রী জ্যানেট জ্যাকব নরওয়ের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনআরকে-কে বলেছেন, এরকম ভীতিকর কোনও কিছু তিনি কোনোদিন দেখেননি। তিনি বলেন, আমি প্রার্থনা শুরু করেছিলাম। আরোহীদের সবার নিরাপত্তার জন্য দোয়া করছিলাম। হেলিকপ্টার যাত্রা ছিল ভয়ানক।