যশোরের চৌগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও রের্জাল্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে নাজনিন নাহার পপিকে বিজয়ী ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে চৌগাছা উপজেলা নির্বাচনে দুই প্রার্থী নাসিমা খাতুন ও আকলিমা খাতুন তারা এই অভিযোগ করেন। এ সময় তারা পুনরায় ভোট গণনার দাবি করেন। এজন্য তারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।
চৌগাছা উপজেলা নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী নাসিমা খাতুন তার লিখিত বক্তব্য বলেন, উপজেলার ৮১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৭টি কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি এগিয়ে ছিলেন।কিন্তু এই সময় বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।সেই সুযোগে সহকারি রিটার্নিং অফিসার মারুফুল আলম ভোটের ফলাফল বদলে দেন।প্রায় ৩০ মিনিটের মতো তিনি হল রুম ছেড়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ভোটের কারচুপি করেন।এ সময় তার কর্মীরা এই তৎপরতায় বাধা দিলে র্যাব ডেকে তাদেরকে হয় রানি করা হয়।পরে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে নাজনিন নাহার পপিকে ২২ হাজার ৭৫৯ ভোট পেয়েছেন বলে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।আর নাসিমা খাতুন ভোট পান ২২ হাজার ৭৪৩টি।
একই সাথে সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন তার লিখিত অভিযোগ বক্তব্য বলেন, নির্বাচনের আগে তৃণমূল আওয়ামী লীগের ভোটের ১৪৮টি ভোট পেয়ে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন। আর নাজনীন নাহার পপি পান মাত্র ২০ ভোট।কিন্তু কারচুপির মাধ্যমে সেই নাজনিন নাহার পাপীকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দুই প্রার্থী পুনরায় ভোট গণনার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন, ফয়সাল চৌধুরী, নাহিদ হাসান বাধন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।