muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

স্ত্রীকে গরম পানিতে ঝলসে দেওয়ায় স্বামী গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জে গরম পানি দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লতা আক্তারকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার আটক করা হয়। সুজনের বাড়ি মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার বেউথা গ্রামে।

লতার বাবা বিশা খাঁ জানান, এক বছর আগে সদর উপজেলার বেউথা গ্রামে আবদুল বাতেনের ছেলে সুজন মিয়ার (২৩) সঙ্গে তাঁর মেয়ে লতা আক্তারের বিয়ে হয়। পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজন বিয়ের পর থেকে তাঁর মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। বর্তমানে তাঁর মেয়ে সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

গত রোববার দুপুরে সুজন মিয়া গোসল করার জন্য গরম পানি করতে বলেন লতাকে। গরম পানি হওয়ার পর সুজন গোসলের জন্য গামছা নিয়ে আসতে বলেন। গামছা নিয়ে যাওয়ার পর গামছা কেন ময়লা এই কথা বলে লতাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে গোসলের গরম পানি লতার শরীরে ঢেলে দেন সুজন। এতে লতার পিঠ ও দুই হাত ঝলসে গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে বিশা খাঁ সন্ধ্যায় তাঁর মেয়েকে সুজনদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সুজনের শাস্তির দাবিতে সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতর লতা আক্তার জানান, প্রায় সময় কোনো না কোনো অজুহাতে তাঁর স্বামী সুজন তাঁকে মারধর করেন। রোববার তাঁকে হত্যার উদ্দেশে শরীরে গরম পানি ঢেলে দেন।

মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লুৎফর রহমান জানান, গরম পানিতে ওই গৃহবধূর শরীরের ৩০ ভাগ ঝলসে গেছে। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত থাকলেও এ ধরনের রোগীকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

এদিকে স্ত্রীর শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়ার পর সুজন বাড়ি থেকে পালিয়ে সাভারের আশুলিয়ায় তাঁর নিকটতম এক আত্মীয়র বাসায় আত্মগোপন করে ছিলেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নূর মোহাম্মদ  জানান, ভোরে সাভারের আশুলিয়া থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন স্ত্রীর গায়ে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নূর মোহাম্মদ  জানান, ভোরে সাভারের আশুলিয়া থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন স্ত্রীর গায়ে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

Tags: