muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

রাজনীতি

সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ মারা যাননি, জানাল বিএনপি

প্রবীণ সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত না হয়ে গণমাধ্যমে শোকবার্তা পাঠানোয় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি। প্রকৃতপক্ষে বর্ষিয়ান এই সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করেননি। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রোববার সন্ধ্যায় জানানো হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পারি যে, দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ আজ ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন।

এই সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বিএনপির পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি শোকবার্তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায়, মাহফুজউল্লাহ মৃত্যুবরণ করেননি, তবে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য বিএনপি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। দোয়া করি- মহান রাব্বুল আলামিন যেন মাহফুজ উল্লাহকে দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু দান করেন।

এদিকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাহফুজউল্লাহর সঙ্গে থাকা তার মেয়ে নুসরাত হুমায়রা বলেন, বাবা বেঁচে আছেন। বাবার পাশেই আমি বসে আছি।

এর আগে রোববার বিকেলে মাহফুজউল্লাহ মারা গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে।

ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতায় যুক্ত হন মাহফুজউল্লাহ। সাপ্তাহিক বিচিত্রার জন্মলগ্ন থেকেই যুক্ত ছিলেন তিনি। পরে বিভিন্ন সময়ে দেশের নেতৃত্বস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি। দেশে পরিবেশবিষয়ক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ তিনি।

সাংবাদিকতার বাইরে লেখক হিসেবেও সুপরিচিত মাহফুজউল্লাহ। তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। ইতিহাস নিয়ে তার লেখা বইগুলোর অন্যতম ‘অভ্যুত্থানের ঊনসত্তর’ ও ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন: গৌরবের দিনলিপি (১৯৫২-৭১)’।

তিনি সর্বশেষ লিখেছেন ‘Begum Khaleda Zia: Her Life, Her Story’। এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনীগ্রন্থও লিখেছেন তিনি, বইটির নাম ‘President Zia of Bangladesh: A political Biography’।

ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করলেও সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের থিংকট্যাংকের অন্যতম হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

Tags: