তিস্তা নদী দিয়ে ভারত থেকে বৃহস্পতিবার রাতে অবৈধভাবে ১৬টি গরু পাচার করে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার সকালে মতির বাজার সংলগ্ন রাস্তায় ১০টি গরু পুলিশ আটক করে।
দুপুর ১২টায় সময় ২টি গরু নিয়ে পাচার করার সময় দেখা যায় গয়াবাড়ী ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি ফজলুল হক বারী, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মামুর অর রশিদ, ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব মোটর সাইকেলে পিছু পিছু নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি পুলিশ সংবাদ পেয়ে সুটিবাড়ীর কালীবাড়ী থেকে নসিমন গাড়ী থেকে এসআই উজ্জল শাহ, এসআই মোহাম্মদ আলী গরু ২টি নসিমন চালক ও হেলপারকে আটক করে।
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন তিস্তার নদী সংলগ্ন ভারত থেকে অবৈধ পথে গয়াবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল ইসলামও আক্কাজ আলী গরু এনে বিক্রি করে আসছিল। বৃহস্পতিবার ১৬টি ভারতীয় গরু অবৈধ পথে আসলেও ১২টি গরু পুলিশ ও ১টি গরু বিজিবি আটক করে। অপর গরু ৩টি নিয়ে তিস্তার পাড়ে ভুট্টা ক্ষেতে আক্কাস ও রুবেল আত্বগোপন করেছে। দুপুরে পুলিশ রুবেল ইসলামের বাড়ীতে অভিযান চালায়। সেখানে সে সময় গরু কিংবা রুবেলকে পাওয়া যায়নি মর্মে ডিমলা থানার এসআই উজ্জল শাহ বলেন।
গয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মামুর অর রশিদ বলেন, এলাকায় চোরাই পথে অবৈধভাবে ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল ও আক্কাস গরু ব্যবসা করে। উদ্ধারকৃত গরুগুলো তাদের মর্মে তিনি জানতে পারেন।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভারতীয় গরু উদ্ধারের বিষয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হবে। পুলিশ ১২টি গরু উদ্বার করে অপরদিকে বিজিবি একটি গরু উদ্ধার করলেও ৩টি গরু উদ্ধারের চেস্টা করছে পুলিশ। অবৈধভাবে ভারতীয় গরু পাচারের সাথে জড়িতদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।