muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

পাকিস্তান কারাগারে সাজা ভোগের পরও মুক্তি পাচ্ছেনা কিশোরগঞ্জের শাহ্ নূরী

অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পাকিস্তানের কারাগারে সাজা ভোগ শেষেও মুক্তি পাচ্ছেনা কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের দেওয়ান শাহ নূরী (৪৬) নামে এক ব্যক্তির। বাংলাদেশে ওই ব্যক্তির সঠিক ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে দেশে পাঠানো যাচ্ছে না। ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে এ ব্যাপারে গত ৩০শে এপ্রিল একটি ই-মেইল বার্তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পার্সনাল অফিসার রুবেল মিয়া জানান, গত বছরের ১২ এপ্রিল পাকিস্তানের লাহোর থেকে ওই ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন। কাগজপত্রে তার নাম জাবেদ শাহ উল্লেখ করা হয়েছে। পাকিস্তানে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাকে তিন মাস কারাদ- এবং ২০ হাজার রুপী জরিমানা অনাদায়ে আরো ১০ দিনের কারাদ- দেয়া হয়।
সাজা ভোগ শেষে গত বছরের ২১ জুলাই তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি এখনো লাহোর কারাগারে বন্দী রয়েছেন। বিষয়টি বাংলাদেশ হাইকমিশনের নজরে এলে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হয়। তখন ওই ব্যক্তি জানান, পাকিস্তানে কাগজপত্রে তার নাম জাবেদ শাহ উল্লেখ করা হলেও তার নাম দেওয়ান শাহ নূরী। তার জন্ম বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলায়।

রাজধানীর আজিমপুরে থাকা অবস্থায় মানবপাচার চক্রের ফাঁদে পড়ে মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৮৪ সালে তিনি সড়কপথে ভারত হয়ে পাকিস্তানে যান। এরপর থেকে তিনি পাকিস্তানেই অবস্থান করছিলেন। এরকম অবস্থায় ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল লাহোর থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়।

ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পার্সনাল অফিসার রুবেল মিয়া আরো জানান, দেওয়ান শাহ নূরী তাকে জানিয়েছেন, তার বাবার নাম মো. কাঞ্চন। বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার জাফরাবাদ জগৎচর গ্রামে। বিল্লাল নামে তার এক ভাই ছিলেন, তিনি মারা গেছেন। নাজমা নামে এক বড় বোন এবং নাসিমা নামে এক ছোট বোন রয়েছেন। নাজমা বেতিয়ারকান্দি কান্দিতে বসবাস করেন। তার নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী মনোহরপুর গ্রামে। নানার নাম নূর মোহাম্মদ। তার মামার নাম সৈয়দ আরিফুজ্জামান। এছাড়া তার চার সৎ ভাই রয়েছেন। তাদের নাম আনোয়ার, জালাল, আউয়াল ও জামাল।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পাকিস্তানে অবস্থান করায় তিনি অনর্গল উর্দু বলতে পারলেও বাংলা বলতে পারেন না বলেও ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশনের পার্সনাল অফিসার রুবেল মিয়া জানান।

এছাড়া রুবেল মিয়া আরো জানান, বাংলাদেশে তার ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া না গেলে তাকে দেশে পাঠানো যাবে না। সেক্ষেত্রে তাকে কারাগারেই বন্দী থাকতে হবে।

Tags: