muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অষ্টগ্রাম

অষ্টগ্রামে যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে কয়েক কোটি টাকার রাস্তা

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে এলজিইডির নির্মাধীন কয়েক কোটি টাকার রাস্তায় বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নে নাজিরপুর নোয়াগাঁওয়ের কাছে মেঘনা নদীতে মারাত্নক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে অষ্টগ্রাম-ব্রাহ্মনবাড়িয়া রোডের উন্নয়ন সহ ২-৩টি গ্রামের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা ও এলজিইডির কয়েক কোটি টাকার রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এবিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন নির্বিকার বলে জানান এলাকাবাসি।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানাযায়, অষ্টগ্রাম উপজেলার বাংগাল পাড়া হয়ে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার চাতল পাড় পর্যন্ত সাড়ে ৭ কিলোমিটার রাস্তাটি নিমার্নে ব্যায় হচ্ছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা এর মধ্যে রয়েছে ৪ টি ব্রিজও। ২০১৭ সালে কাজ শুরু করে ১৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত অজানা কারনে এখন পর্যন্ত এই রাস্তার কাজ শেষ হচ্ছে না। গত বছরে নদী ভাঙ্গনের কারনে এমনিতে যথেষ্ট ঝুকিঁ ও এবছর মেঘনা নদীটি ভাঙ্গার কারনে এলজিইডির এত ব্যয় বহুল রাস্তাটি যেকোনো সময় নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে বলে এলাকাবাসিরা জানান।

নাজির পুর গ্রামে মাসুক মিয়া বলেন, এই রাস্তাটি হাওরবাসির স্বপ্ন কিন্ত নদী ভাঙ্গার কারনে যেন হাওরবাসির স্বপ্ন্ও ভেঙ্গে যাচ্ছে।একই গ্রামের মুসলিম মিয়া বলেন, অষ্টগ্রাম
ব্রাহ্মনবাড়িয়া যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি নদী ভাঙ্গনে কারনে কয়েক দিনের মধ্যে নদীতে বিলিন হয়ে যেতে পারে। তিনি আরোও জানান, আগে রাস্তার কাজ দেখার জন্য অষ্টগ্রাম অফিস থেকে অফিসারেরা আসত এখন আর তাদেরকেও দেখা যায় না এবং একটু মেঘ বৃষ্টি হলেই যেকোনো সময় রাস্তাটি ভেঙ্গে যেতে পারে। নাজির পুরের রুবেল মিয়া নামে এক যুবক জানান, গত বছর নদী ভাঙ্গছিল তখন পানি উন্নয়ন বোর্ডের টাকা দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে এলাকাটি রক্ষা করেছে কিন্ত এখন নদী ভেঙ্গে রাস্তা কাছাকাছি হওয়ায় যেকোনো সময় নদীতে পরে যেতে পারে। এখন যদি জরুরি ভাবে রাস্তাটি রক্ষা না করে তাহলে রাস্তা ভেঙ্গে নাজির পুর গ্রামটি দনীর সাথে মিশে যাবে।

শনিবার সরেজমিনে নাজিরপুর গিয়ে দেখা যায়, কোথাও কোথাও রাস্তার উপরে বালু ফেলছে আবার কোথাও পিচদোনার কাজ করছে শ্রমিকেরা। নদীর তীরবর্তী নাজিরপুর গ্রাম ঘেঁসে যাওয়া বাংগাল পাড়া চাতলপাড়ে রাস্তাটি দিয়ে অটোবাইক, মোটরসাইকেলে লোকজন চলাচল করছে। নাজিরপুর সংলগ্ন মেঘনা নদীটি ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাস্তা থেকে প্রায় ৫-৬ ফিট দুরে অবস্থান করছে।

বাংগাল পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামূল হক ভূইয়া জানান, নদী ভাঙ্গনের সাথে সাথেই স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। বিষয়টি উর্ধতন কর্তাব্যাক্তিরা যদি একটু আগেই নজর দিত তাহলে এমন হত না।

এসব বিয়য়ে কথা বলতে এলজিইডির অফিসে গিয়ে জানাযায়, উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব মোর্শেদ তিনি অসুস্থ্য থাকায় বাসায় আছেন তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এব্যপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিশোরগঞ্জের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম তবে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি ।

Tags: