বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও স্বতন্ত্র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার রাতে তালতলী থানায় তিনটি পাল্টা-পাল্টি মামলা হয়েছে। পুলিশ উভয় পক্ষের পাঁচ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার (২৬ মে) গ্রেফতারকৃতদের আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী মোঃ রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মনিরুজ্জামান মিন্টুর সমর্থকদের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্ততঃ ৩০ জন হয়।
আহতদের মধ্যে ১৩ জন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, বরগুনা সদর ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এ ঘটনায় শনিবার রাতে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সমর্থক মোঃ মানসুর আলী জোমাদ্দার বাদী হয়ে মালেক আকনকে প্রধান আসামী করে ২১ জনের নামে, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিন্টুর সমর্থক জাকির শরীফ বাদি হয়ে কবির আকনকে প্রধান আসামী করে ৪৩ জনের নামে এবং মারুফ রায়হান তপু বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই রাতে অভিযান চালিয়ে দুই পক্ষের দু’মামলার আসামী জাকির খান, আবুল মুছুল্লী, সাকিল আকন, মালেক হাওলাদার ও রাসেল হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার সকালে পুলিশ ওই পাঁচ আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, তিনটি মামলায় পাঁচজন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।