
অষ্টগ্রামে কয়েক হাজার একর জমির ফসল তলিয়ে গেলেও হিসাব নেই স্থানীয় কৃষি অফিসে
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে প্রায় কয়েক হাজার একর আমন ধান তলিয়ে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ এবং অর্থনৈতিক সংকটে সম্মৃখিন হলেও এব্যপারে কোন সঠিক হিসেব নেই স্থানীয় কৃষি অফিসে।
জানা যায়, একসময়ে এই উপজেলায় একমাত্র আমন ধানই কৃষকদের জীবন রক্ষাকারি ফসল নীচু ও জলাশয় যুক্ত কিছু জমিতে দেশীয় বোর উৎপাদন হতো তার পরিমানছিন খুবই কম। পরর্বতীতে ১৯৬৫-৬৬ সালে অধিক ফসল ফলাও অভিযানে এ উপজেলায় প্রথম উন্নশীল বৈদেশিক বীজে ইরি-বোরোর উৎপাদন শুরু হয় এবং উৎপাদিত জমিতে প্রতি একরে ৬০-৭০ মন ধান হতো বলে একাধিক কৃষক জানান।
উপজেলার কাস্তুল ,সদর, পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের বাড়ির পাশ্ববর্তী মাঠ গুলোতে অতীথ থেকে বর্তমানে আমন আবাদ বিদ্যমান রয়েছে এবং বুনা ও রোপা এজাতীয় দু-প্রকার আমন উৎপাদন চলে আসছে। কয়েক বছর ধরে ইরিবোর উৎপাদনের কয়েক দফায় ফসলহানীর ,শ্রমিক ও উৎপাদনের খরচ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং ধানের দাম কম হওয়ার কৃষকেরা বোর উৎপাদনের স্থবির হয়ে পড়েছে। তার কারনে কৃষকেরা আরোও বেশি আমন আবাদ করেছে বলে জানান কৃষকেরা।
সরজমিনে ঘুরে দেখাযায়, উপজেলার পৃর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের আসিয়া হাওর,খারুয়াল হাওর ,বীরগাও হাওর ইকুরদিয়া হাওর,পুকুরপাড় হাওর, সদর ইউনিয়নের ঋষিপাড়া হাওর, মধ্য অষ্টগ্রাম হাওর, কলাপাড়ার হাওর এবং কাস্তুল ইউনিয়নের বাহাদুরপুর হাওর,পানিতোনফা হাওর সহ বেশ কয়েকটি হাওর ঘুওে দেখা গেছে প্রতিটি হাওরে আমনের আবাদ হয়েছে এবং চারাগুলোও সুন্দর্য্য বর্ধণ করছে। কিন্ত গত কয়েকদিনের হঠাৎ কওে পানির অস্বাভিক ভাবে বেড়ে যাওয়ার কারনে ক্রমাগত মাঠের আমন ফসল গুলো তলিয়ে কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতির সৃষ্টি হলেও মাঠে স্থানীয় কৃষি অফিসের কোনো লোকজনের দেখা মিলছে না বলে অসংখ্য কৃষকের অভিযোগ।
এব্যপারে পৃর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাসেদ মিয়া জানান,এই ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার একর আমন আবাদ হয়েছিল, কিন্ত হঠাৎ করে পানির বৃদ্ধি ফলে প্রায় সবই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এইসব জমি বেশিভাগই গরীব ও ক্ষুদ্র চাষী এখন তাদের পরিবার নিয়ে ভরন পোষনই দায় হয়ে পড়বে।
এসব বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় ২৫ হাজার একর আমন চাষ হয়েছে তবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমানের তালিকা এখন পর্য়ন্ত করা সম্ভব হয়নি।