“আমারে যে চেয়ারটা দিলো আল্লাহ তাকে ও তার পরিবারকে সুখে রাইখেন। চেয়ারটাতে বসে আমার খুব ভালো লাগছে”। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বলছিলেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামের মোঃ কাইয়ুম মিয়ার কন্যা শারিরিক প্রতিবন্ধীকবিতা আক্তার।
রবিবার (৪ আগষ্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে কবিতার বাড়িতে গিয়ে হুইল চেয়ার তুলে দেন মহিনন্দ ইতিহাস
ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক আমিনুৃল হক সাদী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লতিবাবাদ
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও লতিবাবাদ পুলিশিং কমিউনিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মঞ্জিল মিয়াসহ গন্যমান্য লোকজন।
জানা গেছে, সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের ডুবাইল গ্রামের মোঃ কাইয়ুম মিয়ার কন্যা কবিতা
আক্তার শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছিলেন। কতজনকে হুইল চেয়ারে বসে চলাফেরা দেখেছেন কবিতা কিন্ত নিজে জন্মের পর থেকে ঘরে বসেই জীবন যাপন করে শরিরের স্থলতা বেড়ে যায়। দরিদ্র পরিবারটিও বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করেও মিলেনি একটি হুইল চেয়ার। এ বিষয়টি সাংবাদিক আমিন সাদী ফেইসবুকে তুলে ধরেন। এতে এগিয়ে আসেন একজন সমাজ দরদী। তিনি সাংবাদিক আমিন সাদীকে আশস্থ করেন কবিতার জন্য একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করবেন। এরই প্রেক্ষিতে রবিবার দুপুরে প্রতিবন্ধী কবিতার বাড়িতে গিয়ে সেই হুইল চেয়ারটি প্রদান করা হয়। হুইল চেয়ার পেয়ে প্রতিবন্ধী কবিতা আক্তার হুইল চেয়ার দাতাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে খুশিতে আতœহারা হয়ে ওঠেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হুইল চেয়ারদাতা বলেন, ফেসবুকে সাংবাদিক আমিন সাদীর মাধ্যমে দরিদ্র
শারিরিক প্রতিবন্ধী কবিতার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে একটি হুইলচেয়ার প্রদানের ব্যবস্থা করি। আমি
আল্লাহর এই বান্দাকে সহযোগিতা করতে পেরেছি তাতেই ধন্য।
কবিতার মাতা মোছাঃ লাকী আক্তার বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করেও শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তান কবিতার জন্য একটি চেয়ারও ব্যবস্থা করতে পারিনি। আজ প্রতিবন্ধী কবিতার জন্য সাংবাদিক আমিন সাদীর মাধ্যমে সমাজ সেবী জনৈক হুইল চেয়ারদাতা এগিয়ে আসায় উনার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি।