muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

২২ আগস্ট ‘শুরু’ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা তাদের নিজভূমি রাখাইনে ২২ আগস্ট থেকে ফিরতে শুরু করবে। 
বৃহস্পতিবার দুই দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করে। 

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মিনট থু রয়টার্সকে জানান, ২২ আগস্ট তিন হাজার ৪৫ শ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়া হবে। 

বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ২২ হাজারের তালিকা থেকে প্রাথমিকভাবে এসব রোহিঙ্গা মিয়ানমার ফিরিয়ে নেবে বলে জানান তিনি। 

জাতিগত নিধন ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়। একই বছরের ৬ জুন নেপিদোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যেও সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে আবারও হামলার মুখে পড়ার আশঙ্কায় রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানানোয় ব্যর্থ হয় ওই উদ্যোগ।

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে নতুন করে উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত মাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। ১৫ সদস্যের দলটি দুই দিন ধরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা ও বৈঠক করে। এসব বৈঠকে রোহিঙ্গাদের তরফে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ও চলাফেরায় স্বাধীনতার দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

 নভম্বরে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদের কারণে। তারা নাগরিকত্বসহ অন্য সব অধিকার ফিরিয়ে দেয়া এবং আবার নিপীড়ন হবে না এমন নিশ্চয়তার পর প্রত্যাবাসনের দাবি জানায়।  

রয়টার্সকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ চায় নিরাপদ ও স্বেচ্ছা এবং স্থায়ী প্রত্যাবাসন।  

মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মিন থেইন বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে কিছু শরণার্থী কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা প্রস্তুত আছি। 

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। এদের সঙ্গে রয়েছেন ১৯৮২ সাল থেকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া আরও প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা। সব মিলে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখের বেশি।

Tags: