muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে তরুনের ‘আমরণ অনশন’

আবরাব নাদিম ইতু। ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র। পিতা একজন স্কুল শিক্ষক। বাড়ি ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নে। যে কোন যায়গায় অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতে নেমে যান একাই।

চরভদ্রাসনের মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা হলো স্বাস্থ্য সেবা। উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও নেই তেমন ডাক্তার, নেই কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা পদ্ধতি। পর্যাপ্ত ঔষুধের ও ব্যাবস্থা নেই। শুধুমাত্র একজন এস.এ.সি.এম.ও দিয়ে চলে রোগিদের চিকিৎসা। জরুরী কোন রোগি আসলে সেটাও পাওয়া যায়না। এছারা কোন গুরুতর রোগী আসলে তাকে সাথে সাথে জেলায় রের্ফাড করা হয়। সাধারন রোগিদেরও অনেক সময় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর এই উপজেলাবাসীর মৌলিক অধিকার স্বাস্থ সেবা (২৪ ঘন্টা) নিশ্চত করতে বুধবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে আমরন অনশনে নামে আবরাব নাদিম ইতু। সাথে কিছু স্থানীয় লোকজনও যোগ দেয়।

তিনি বলেন “স্বাস্থ্য সেবা আমাদের মৌলিক অধিকার, সামান্য কাটা ছেরা হলেই আমাদের ফরিদপুরে পাঠানো হয়। আমাদের এখানে স্বাস্থ্য কমোপলেক্স থাকা সত্তেও ,পর্যাপ্ত বাজেট থাকলেও কেন আমাদের ফরিদপুরে রেফার্ড করা হয়? কেন আমাদের নিম্নপযার্য়ে ঔষুধগুলোও দেওয়া হয়না? চরভদ্রাসন হাসপাতালের এই অনিয়ম ও দুর্নীতি যতক্ষন পর্যন্ত বন্ধ না হবে ততক্ষন আমি আমরন অনশন চালিয়ে যাব”।

এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সের কর্মকর্তা আবুল কালাাম আজাদের অনুপস্থিতে ডা. রেজওয়ানা জানান, “আমাদের হাসপাতালে ডাক্তার সংকট রয়েছে। আগামি বিসিএস এ ডাক্তার নিয়োগ হলে এই সংকট দুর হবে। এছাড়া নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার বিষয়টা আমরা উপরে জানিয়েছি”।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুশা জানান “ডাক্তার সংকটে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছি।এছারা চরাঞ্চলের মানুষের সেবার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মানের বিষয়ে কাজ চলছে। দ্রূতই সমস্যা সমাধান হবে”।

দুপুর দুইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা জেমসিন সুলতানার নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুশা, চরভদ্রাসন ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান, গাজিরটেক ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলি, স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সের ডাক্তার রেজওয়ানা ঘটনা স্থলে এসে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত ও ডাক্তার সংকট দুর করার বিষয়ে কথা বলেন।

এসময় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বলেন, ডাক্তার সংকট একটি বড় সমস্যা আমরা উপর মহলে জানিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব, এছারা ৩৯ তম বিসিএস এ নতুন ডাক্তার নিয়োগ হবে। ২৪ ঘন্টা যেন একজন ডাক্তার ও একজন সিএও থাকে সেই ব্যাবস্থা করা হবে।

পরে অনশন কারীর স্বাস্থ্য পরিক্ষা করে তাকে পানি ও জুস পানের মাধ্যমে অনশন ভঙ্গ করানো হয়। এসময় স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মী ও জনসাধারন উপস্থিত ছিলেন।

Tags: