muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

নীলফামারী সীমান্তে বাংলাদেশী যুবক তীরবিদ্ধ

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় তীরবিদ্ধ হয়েছে নাজিমুল হক নাজি(৩০) নামের এক বাংলাদেশী যুবক। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে সাড়ে ৫টায় তীরবিদ্ধ ওই যুবককে আপনপাড়ার ৭৭৯ প্রধান সীমান্ত পিলার এলাকা হতে দুটি মোটরসাইকেলে আসা অজ্ঞাত তিন যুবক তুলে নিয়ে গেছে। বিকাল সারে ৫টা পর্যন্ত যুবকটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। নাজিমুল ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের উত্তর নিজ ভোগাবুড়ি গ্রামের চৌকিদারের মোড় কাওলাপাড়ার হযরত আলীর ছেলে বলে এলাকাবাসী জানায়।

সীমান্তের আপনপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী সাংবাদিকদের জানান, ওই যুবকের ডানহাতে তীরবিদ্ধ হয়। কারা তাকে তীর মেরেছে সেটি তিনি বলতে না পারলেও তিনি বলেন, কিছুক্ষনের মধ্যেই দুইটি মোটরসাইকেলে অজ্ঞাত তিন যুবক ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা ক্ষত স্থানে কাপড় পেচিয়ে নাজিমুলকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।

সীমান্তের আদর্শ গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানায়, তীরবিদ্ধ ওই যুবকের বাড়ি হতে ঘটনাস্থল প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরত্ব। এলাকার কিছু চোরাকারবাড়ি সিন্ডিকেট রয়েছে,যুবকটি ওই সিন্ডিকেট সদস্য।

অভিযোগ মতে, ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের কাওলা গ্রামের মৃত গোয়াল মঙ্গলুর ছেলে জাহিদুল (৫০) ও হজরত আলীর ছেলে নাজিমুল সহ ৬/৭ জন যুবক সীমান্তের ৭৭৯ মেইন পিলারের সাব-পিলার ৯এস, পিলার এলাকা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতীয় বিএসএফ তাদের অবৈধভাবে ভারত সীমান্তে প্রবেশে বাধা দিতে তীর নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে নাজিমুলের ডানহাতের কনইয়ের উপরের অংশে তীরবিদ্ধ হয়। এতে অন্যান্য সঙ্গীরা আহত নাজিমুলকে নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওই সীমান্তের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়ি তিস্তা নদীর ৭৭৯ প্রধান পিলারের ৯ সাব পিলার ও ৭৮০ নম্বর সীমান্ত প্রধান পিলার এলাকা রক্তের ছাপ পড়ে রয়েছে। এলাকাটিতে নদী থাকার কারনে সেখানে কোন তারকাটার বেড়া নেই। বাংলাদেশের এপারে রয়েছে আর্দশ পাড়া ও আপন পাড়া গ্রাম। ওপারে রয়েছে ভারতের বনগ্রাম ও মানিকগঞ্জ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ক্যাম্প।

তীরবিদ্ধ নাজিমুলের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি তালাবন্ধ।

এলাকাবাসী জানায়, তীরবিদ্ধ যুবকের বাবা ও বড় দুই ভাই ঢাকায় তৈরী পোষাকের কারখানায় কাজ করে। এখানে মা সহ নাজিমুল থাকে। নাজিমুলকে তিন যুবক দুইটি মোটরসাইকেলে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর তার মাকেও তারা মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে রংপুরে চিকিৎসার কথা বলে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোজঁ নিয়ে জানা যায় তীরবিদ্ধ কোন রোগী চিকিৎসার জন্য আসেনি। তবে অনেকে ধারনা করছে তীরবিদ্ধ যুবককে চোরাকারবাড়ি সিন্ডিকেট কোন গোপনস্থানে চিকিৎসা প্রদান করছে।

ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি বিস্তারিত কিছু জানিনা।

৫৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ডাঙ্গাপাড়া ক্যাম্পের নায়ক সুবেদার খসরুল আলম খসরু জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা তদন্ত করে দেখছি।

Tags: